চেয়ারম্যান মাসুদের হামলায় ইউপি সদস্য আহত

নওগাঁর বদলগাছীতে চেয়ারম্যানের হামলায় ইউপি সদস্য আনিছুর ফারুক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন আহত ওই ইউপি সদস্য। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় চেয়ারম্যান মাসুদসহ তার লোকজন এই হামলা করে বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগ। আহত আনিছুর জগৎ নগড় গ্রামের মৃত আবু তাসের মন্ডলের ছেলে এবং একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য। এর আগে তিনি দীর্ঘ দিন থেকে হার্টের সমস্যায় চিকিৎসা নিয়েছেন।
ভুক্তভোগীসহ একাধিক স্থানীয় ব্যক্তির অভিযোগ, এর আগে একাধিক গণমাধ্যমে একই ইউনিয়ন পরিষদের এক নারী উদ্যোক্তাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে নিউজ প্রকাশিত হয়। সেই নিউজ লিংক আনিছুর তার নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়। এঘটনায় বহুবার হুমকি দিয়েছে। এদিন ইউনিয়ন পরিষদে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে কার্ড বিতরণ করা হচ্ছিল। পরবর্তীতে এই কার্ড দিয়ে অসহায় দরিদ্ররা প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরুপ ১০ কেজি করে চাল পাবে।
তারই ধারাবাহিকতায় আনিছুর তার এলাকাসহ অন্যান্য এলাকার অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে কার্ডগুলো বিতরণের অনুরোধ করে। এতে চেয়ারম্যান মাসুদ অপরাগত প্রকাশ করে তার পছন্দের লোকজনের মধ্যে বিতরণ করছিল। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়। এবং তার নেতৃত্বে আনিছুর রহমানকে অতর্কিত হামলা করা হয়। এসময় সোহেল ও শাহিন এগিয়ে আসলে তাদেরকে মারপিট করা হয়। একসময় উত্তেজিত জনতা চেয়ারম্যানের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এতে চেয়ারম্যান জনগণের রোষানলে পড়ে।
এদিকে ফেসবুক ভিডিওতে চেয়ারম্যান মাসুদকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। প্রায় এক ঘন্টা পর চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসে। মামলার হাত থেকে বাঁচার জন্য চেয়ারম্যান চিকিৎসা নিতে এসেছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী   ইউপি সদস্য সহ এলাকার লোকজন।
বিষয়টি অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, আমি কাউকে মারিনি। তারাই আমাকে মেরেছে।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য বলেন, আমি একজন অসুস্থ মানুষ। আমাকে অন্যায়ভাবে চেয়ারম্যান সহ তার লোকজন মেরেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।একই ভাবে বিচার চাইলেন চেয়ারম্যানের হাতে মার খাওয়া সোহেল ও শাহীন।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো মাহবুবুর আলম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।