ছেলের আঘাতে হাসপাতালে কাতারাচ্ছে মা

হামিদা আক্তার, নীলফামারী প্রতিনিধি : এলাকাবাসী হতবাক ! বলছে এ কেমন ছেলে ? তুচ্ছ ঘটনায় পাষন্ড ছেলেই তার গর্ভধারীন মা-কে রশি দিয়ে দু’হাত বেঁধে বেদম মারধর করায় আশংকা জনক অবস্থায় মা এখন হাসপাতালে কাতারাচ্ছে। শুধু তাই নয়, মা-কে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই বলছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ঐ আহত মা-কে ছেলের হাত থেকে উদ্ধার করেছে মানবাধীকার কর্মী জাহানার বেগম ও স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্ল্ক্সে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে জনম-দু:খী হতভাগী মা বুলবুাল বেগম। আর্ন্তজাতিক মানবাধীকার সংস্থার নীলফামারী জেলা সভাপতি ও ডিমলা উপজেলা আওয়ামী তাঁতী লীগের সভাপতি নারীনেত্রী জাহানারা বেগম জানান, ২২ জানুয়ারী সোমবার বিকেলে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম বড় বাউ’র স্ত্রী বুলবুলি বেগম (৫৫)। তার দুই ছেলে সন্তান লিটন (৩০) ও লিফন (২৫)। উশৃংখল লিটন এলাকার জনৈক্য ব্যক্তির কাছে সবার অজান্তে জমি বন্দক রাখে। জমির টাকা ফেরত চাইলে মা বুলবুলি বেগম তার বড় ছেলে লিটনকে জমির উপড় বন্দকী টাকা ফেরত দিতে বলেন। তিনি বলেন, মানুষের টাকা নিয়োছো তা দিয়ে দেওয়াই ভালো। এ কথা বলার পরেই বড় ছেলে লিটন মায়ের উপড় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। মায়ের দু’হাত রশি দিয়ে বেঁধে সম্পুর্ন শরীরে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে গর্ভধারীনির মা তার ছেলের এলোপাতারি মারধরে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় স্থানীয়সমাজ সেবক এনামুল হক আঘাতপ্রাপ্ত মা-কে উদ্ধার করে জাহানারা বেগমসহ প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার’র কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। দু’হাত ও দু’পায়ে মারের প্রচন্ড আঘাতে অজ্ঞান হয়ে থাকা মা বুলবুলিকে দেখে বিস্মিত হয়ে অনেকটা আবেগ আপ্লুতিত হয়ে পড়েন নির্বাহী কর্মকর্তা। অসুস্থ্য মাকে দ্রæত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। উদ্ধারকারীরা অসুস্থ্য মা বুলবুলিকে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। ছেলে হাতেই আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আশংকা জনক অবস্থায় বর্তমানে গর্ভধারীনি মা বুলবুলি বেগম হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মা বুলবুলির নামে অনেক জায়গা-জমি সয়-সম্পত্তি থাকায় ছেলে লিটন ইচ্ছা করেই মা-কে মেরে ফেলার চেষ্টায় রয়েছে। মা- বুলবুলি না থাকলেই এ অঢেল সম্পত্তির মালিক হবে তার ছেলেরা এই লোভেও এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকেই ধারনা করছেন। এ ঘটনায় ডাঙ্গারহাট-বাজারসহ ইউনিয়নের সর্বত্রই এখন পাষন্ড ছেলে লিটনের মা-কে মারধরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে আবার এমন ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবী করেছেন।