ছয় বছরেও উন্মোচন হয়নি সাগর-রুনি হত্যারহস্য

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ২০১২ সালের এইদিনে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন এই দম্পতি। ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও আজও এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি। যদিও হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের ধরার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অধিকতর তদন্তের জন্য এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, রশিসহ বিভিন্ন আলামত পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফরেনসিক গবেষণাগারে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেক আলামতপ্রাপ্তির কথা জানায় র‌্যাব। ফরেনসিকের নমুনার সঙ্গে ঢাকায় সন্দেহভাজন ২১ জনের ডিএনএ নমুনাও পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

এখন পর্যন্ত এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৫৪ বারের মতো পিছিয়েছে। সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে ওই দিন র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার ১৩ মার্চ নতুন দিন ধার্য করেন।

মামলায় বিভিন্ন সময় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মিন্টু, কামরুল হাসান, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম আবু সাঈদ ও এনাম আহম্মেদ কারাগারে। পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।