জনপ্রতিনিধিদের সমাজের সঙ্গে মিশে থাকতে হয়: এলজিআরডিমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জনপ্রতিনিধিরা মানুষের যত কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পান, তা অন্য কোনো পেশার মানুষের পক্ষে সম্ভব না। নির্বাচনের জন্য হোক অথবা মানুষের সেবা করার জন্য, জনপ্রতিনিধিদের সমাজের সঙ্গে মিশে থাকতে হয়।

রোববার রাজধানীর জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের জন্য আয়োজিত ‘সিটি কর্পোরেশন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ’ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, মানুষের অভাব-অনটন, দুঃখ-দুর্দশায় জনপ্রতিনিধিদেরই পাশে দাঁড়াতে হয়। বিভিন্ন মতবিরোধে বিচার সালিশ করতে হয় তাদেরই। তাই জনপ্রতিনিধিরা যখন সমাজের সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়, মানুষ তাদের সন সমস্যা নির্দ্বিধায় জনপ্রতিনিধিদের বলতে পারে। এতে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।

তিনি আরো বলেন, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নের সঙ্গে মানুষের অংশগ্রহণ। এতে সবাই নিজ নিজ সম্ভাবনাকে বিকশিত করার সুযোগ পাবে। আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নগরায়ন হলে তার সুবিধা সবাই ভোগ করবে। অপরিকল্পিত নগরায়ন হলে তা টেকসই হয় না যেমনি তেমনি তাতে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। এক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে আরো আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কোনো মানুষ একা সচেতন হলে সামগ্রিকভাবে তা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর হয় না। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে সবাই যখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করবে তখনই ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, নিজ এলাকা এবং দেশের উন্নয়নে সবাইকে সামগ্রিকভাবে অংশগ্রহণ এবং সচেতন হতে হবে। জনগণকে জাগিয়ে তোলা এবং সচেতন করার ক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর প্রমুখ।