জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণে এখনই সঠিক সময়: ব্রিটিশ রানি

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণে এখনই সঠিক সময় বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলেনে সোমবার একটি ভিডিও বার্তায় বিশ্ব নেতাদের জলবায়ু মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কপ-টোয়েন্টি সিক্স সম্মেলন সফল হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের প্রতি আসক্ত হয়ে মানুষ নিজেই নিজের কবর খুঁড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

গ্লাসগোতে ‘কপ টুয়েন্টি সিক্স’ এর দ্বিতীয় দিনেও সোমবার জলবায়ু সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

অন্যদিকে, জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকাতে শিগগিরই নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরিবেশ রক্ষায় কালক্ষেপণ না করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এছাড়াও, ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রোববার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সোমবার শুরু হয় জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ টুয়েন্টি সিক্স’ এর মূল পর্ব। এদিন, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের উদ্বোধনী বক্তৃতার পর একে একে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব নেতারা। এদের প্রায় সবার কণ্ঠেই ছিল পরিবেশ বাঁচানোর আকুতি ও সতর্কবাতা। শুধু তাই নয়, বরাবরের মতোই ছিল প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরিও।

নিজের দেয়া বক্তব্যে গুতেরেস বলেন, পরিবেশের প্রতি মানুষ এতটাই উদাসীন যে, আমরা নিজেই নিজের কবর খুঁড়ছি। মাত্রাতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে মানুষ নিজেই নিজের চূড়ান্ত পরিণতি ডেকে আনছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, অনেক হয়েছে, আসুন এবার একটু সতর্ক হই। পরিবেশের সাথে আমরা টয়লেটের মতো আচরণ করছি। আমাদের চোখের সামনে আমাদের প্রিয় পৃথিবী বদলে যাচ্ছে। সমুদ্র থেকে শুরু করে পাহাড়-পর্বত সবকিছু ধ্বংস করে ফেলছি আমরা। নিজেরাই নিজেদের কবর খুঁড়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
অন্যদিকে, জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকাতে শিগগরিই নতুন ও কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পাশে থাকার অঙ্গীকারও করেন তিনি।

জলবায়ুর পরিবর্তনরোধে অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বরোপ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। বলেন, নিজেদের চূড়ান্ত পরিণতি থেকে মানবজাতি আর মাত্র কয়েক মিনিট দূরে।

তিনি বলেন, আমরা যদি এখুনি সতর্ক না হই তবে, তবে আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা আর কিছুই করার সময় পাবো না। আমাদের চোখের সামনে ওদের ভবিষ্যত আমরা নষ্ট করছি। আমরা যদি ব্যর্থ হই, তবে আগামী প্রজন্ম আমাদেরকে কোনদিনও ক্ষমা করবে না।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেন, উন্নত দেশগুলোর খামখেয়ালির কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা দুঃখজনক। একইসঙ্গে, কার্বন নিঃসরণ কমানোর চেষ্টার পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের প্রতি অভ্যস্ত হওয়ারও তাগিদ দেন তিনি।

এছাড়াও, সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ব্ক্তব্য রাখেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘিসহ অন্যান্য বিশ্ব নেতারা।