জামায়াতের প্রেসক্রিপশনে পুলিশ প্রশাসনে রদবদল হচ্ছে : শামীম ওসমান

নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতের প্রেসক্রিপশনে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনে রদবদল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

শামীম ওসমান বৃহস্পতিবার(১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার জালকুঁড়ি এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ করতে এসে এ অভিযোগ তোলেন তিনি। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি এর ব্যাখ্যা চাইবেন বলেও জানান তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় ঐক্যফ্রন্টের যে প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জের নব্বই শতাংশ মানুষই তাকে চেনে না। গত চার পাঁচদিন যাবত বিভিন্ন এলাকা থেকে বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে অচেনা লোকজন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঘাঁটি করছে।

তারা বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাতে চায় দাবি করে শামীম ওসমান বলেন, ‘তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে বলে আমার মনে হচ্ছে। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাদের উদ্দেশ্য সঠিক নয়।’

নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি জামায়াতের ইন্ধনে নারায়ণগঞ্জে বড় ধরনের নাশকতামূলক ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ রাজনৈতিক এলাকা। এখানকার একটি রাজনৈতিক ঐতিহ্য আছে। এই এলাকার প্রতি খেয়াল রাখতে তিনি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানান।’

নারায়ণগঞ্জের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও শামীম ওসমান সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের যে ভূমিকা নেয়া দরকার ছিল আমি তাদের মধ্যে সে ধরনের কোনো তৎপরতা দেখছি না।’

তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘যদি আবারো জনগণের ওপর বোমা হামলা করা হয় তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এবং এর দায় দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।’

এর আগে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান জালকুঁড়ি এলাকায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন। সেখান থেকে এলাকায় কয়েকটি ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে অংশ নেন। শত শত নারী পুরুষ তাকে স্বাগত জানান।

এসময় শামীম ওসমান বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আগে গত ২০ বছরে জনপ্রতিনিধিরা যে উন্নয়ন করেছিলেন, আমি এর ৫০ গুণ বেশি উন্নয়ন করেছি। যার কারণে আমি কারো কাছে ভোট চাইবো না।’

তিনি দাবি করেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থীরা ৭৫ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হবেন।’

শামীম ওসমানের এ গণসংযোগকালে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।