জিয়ার কবর সরানো-মরণোত্তর বিচার দাবিতে মানববন্ধন

রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর অপসারণসহ মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন সামরিক আদালতে ফাঁসি দেওয়া বিমানসেনাদের স্বজনরা।
একই সঙ্গে সে সময় (১৯৭৭ সালে) বিদ্রোহ দমনের নামে কী ঘটেছিল, তা জানতে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান তারা।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধন এক সময় রূপ নেয় বিক্ষোভে।
ক্ষুব্ধ স্বজনরা এ সময় দাবি করেন, উদ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়াউর রহমানের কবর অপসারণের। একই সঙ্গে সেই সময় বিমানবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হওয়া সদস্যরা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

ভুক্তভোগী এক বিমানসেনার সন্তান জানান, আমার বাবার কবর কই, কোথায় গেল, আমি কেন আমার বাবার কবর জিয়ারত করতে পারি না।

সেই সময়ে চাকরিচ্যুত এক বিমানসেনা বলেন, জিয়ার কবর এখান থেকে সরাতে হবে এবং এ ঘটনার আমি বিচার চাই।

স্বজনহারাদের অভিযোগ, ১৯৭৭ সালে জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা সাজিয়ে জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ দমনের নামে নিজের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিলেন।

বিদ্রোহ দমনের নামে কী ঘটেছিল, তা জানতে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে আসা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, কালবিলম্ব না করে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক। আর মরণোত্তর বিচারের আইন করা হোক।

বীর প্রতীক ও সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল এম হারুন অর রশিদ বলেন, এই যে সে সময় হত্যা করা হয়েছে, সেটার জন্য কোনো বিচার করা হয়নি। আর যে কয়টা মাত্র বিচার হয়েছে সে বিচার ছিল প্রহসনমাত্র।

১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ভোরে বিমানবাহিনীতে সংঘটিত বিদ্রোহ দমনের নামে সামরিক আদালতে ফাঁসি দেওয়া হয় ১১ অফিসারসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমানসেনাকে। বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত হন আরও চার হাজার জন।