টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

‘ত্রাণ চাই না,পরিত্রাণ চাই’ সাতক্ষীরায় এই শ্লোগানে আশাশুনি উপজেলায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে জেলা নাগরিক কমিটি, নারী কমিটি, আশাশুনি সদর ও শ্রীউলা ইউনিয়ন বাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এই মানববন্ধন।

অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্মসচিব আলীনুর খান বাবলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী। আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হোসেনুজ্জামান। বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, উদীচীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, ভূমিহীন নেতা কওছার আলী, সিপিবি নেতা মো. আবুল হোসেন, জেলা গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাও. মোনায়েম হোসেন, জেলা নারী কমিটির সভাপতি শ্রীপ্রা সরকার, আসাদুল হক লাল্টু, পানি কমিটির তাল উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা ভাত চাই না, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই। নদী ভাঙ্গনের মতো সৃষ্ট পরিস্থিতি আর দেখতে চাই না। আমরা পরিবার নিয়ে বাপ-দাদার ভিটায় থাকতে চাই, পানিতে নয়। আশাশুনিতে যত নদী আছে সেগুলো খনন করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার কতৃক বরাদ্ধকৃত অর্থ যথাযথ ভাবে খরচ করতে হবে। তাছাড়া খাল খননের কাজে বরাদ্ধের টাকা নয়ছয় হতে দিব।সেজন্য সকলে একত্রিত হয়ে তদারকি করতে হবে। বরাদ্দের টাকা ৩০% নয় সমুদয় ব্যয় করতে হবে। প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলার নিম্ন অঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ফসলের ক্ষেত ডুবে যায়। বহু বাড়ি-ঘর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। একইভাবে ষাটের দশকে নির্মিত সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলাসহ উপকূল রক্ষা বাঁধের অধিকাংশ জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় উপকূলের মানুষও সবসময় অনিরাপদ জীবনযাপন করে। স্বাভাবিক সময়ে বেড়িবাঁধ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা থাকে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলেই শুরু হয় তোড়জোড়। যা এবার ঘূর্ণিঝড় অশনির সময়ও দেখা গেছে। কিন্তু এখন আর সেই তোড়জোড় নেই।।

বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়ও জলাবদ্ধতা ও জলমগ্ন অবস্থা বিরাজ করে। অনেকের ঘরের মধ্যে পানি ওঠে। জলাবদ্ধতায় মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে।

পরে একই দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন নাগরিক নেতৃবৃন্দ।