ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলের নবধারা বিদ্যানিকেতনে জমজ শিশুদের কলরব

ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশংকৈল উপজেলায় সুনামধন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নবধারা বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠানটি সময়ের প্রতিযোগিতায় বেশ এগিয়ে। সাহিত্য-সংস্কৃতি আর লেখাপড়ায় প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে সুনামের সাথে অর্জন করেছে পঞ্চম শ্রেণীর শতভাগ মেধা তালিকায় বৃত্তি।

জানাযায়, রাণীশংকৈলে জাতীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে বিজয় কুমার রায়ের নাম ডাক রয়েছে। সম্প্রতি রাণীশংকৈল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবসর পাওয়ার পরে বিজয় কুমার পরিচালকের দায়িত্ব নেন নবধারা বিদ্যা নিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির । পৌর শহরের মাঝামাঝি স্থানে মূল সড়কের পাশে হওয়ায় এই বিদ্যালয়ে সকাল থেকেই শিশুদের কলরবে ভরে ওঠে প্রতিষ্ঠানটি। যুগোপযোগী শিক্ষক ও শিক্ষিকার স্নেহ আর ভালোবাসায় এক নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের । বিদ্যালয়টির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ‘চর্চায় শিক্ষক’। সে কারনে চর্চা করতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলাসহ সৃষ্হটি হয়েছে এক নিবিড় সম্পর্ক।

এছাড়াও বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছাত্র-ছাত্রীদের যতটাই আনন্দিত করতে পেরেছে ঠিক ততটাই একটি স্কুলেই এখন আলোচনায় পাঁচ জোড়া জমজ শিশুকে নিয়ে। তাদের গায়ের পোশাক, গায়ের রং, চোখ-মুখের চাগুনি বেশ শান্তশিষ্ট। তাদের বন্ধুদের সাথেও ভাব জমিয়ে আড্ডা আর পড়ালেখার এক সুমিষ্ট্য সু সম্পর্ক এখন রানীশংকৈল নবধারা বিদ্যা নিকেতনে। আর এদেরকে নিয়ে সহপাঠিরাও থাকে আনন্দ উল্লাসে।

এ বিষয়ে নবধারা বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক ফারমুন লাবনী বলেন- আমাদের বিদ্যালয়ে আমরা ৫ জোড়া জমজ শিশুকে ভর্তি হতে দেখেছি। তারা সবাই মেধাবি। প্রথম শ্রেনিতে ২ জোড়া তারা হলো- নাবিল সরকার ও হাবিব সরকার এবং রাফি বিন সায়েদুল ও রাফিয়া বিন সায়েদুল। দ্বিতীয় শ্রেণীতে আছে মুসাররাত জাহান ও মেহের আফরোজ। পঞ্চম শ্রেনিতে সান ও মুন এবং ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে মহিয়া আক্তার মায়া ও রেশমা আক্তার রিকতি।

সহপাঠিরা বলছে, আমরা আমাদের জমজ বন্ধুদের স্কুলে পেয়ে অনেক খুশি। তাদেরকে নিয়ে অনেক আনন্দ উল্লাস করছি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, জমজ শিক্ষার্থীরা অন্যদের চেয়ে নম্র ও ভদ্র হয়। আমরা বিদ্যালয়ে জমজ শিক্ষার্থী পেয়ে অনেক খুশি। তারা লেখা পড়ায় খুবই মনোযোগী। আমরা তাদেরকে একটু বিশেষ নজর দিচ্ছি। যাতে সবাই মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে দেশের জন্য কাজ করতে পারেন। ‘আসলেই আমরা ১০ জন জমজ শিক্ষার্থী পেয়ে ভাগ্যবান। আমি সব সময় তাদের খোঁজ-খবর নেই।