ঠাকুরগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি আটক

গাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টাকালে অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি চৌধুরী মহেবুল্লাহ আবু নূরকে আটক করেছে পুলিশ।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মো. ফিরোজ কবির আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আটক চৌধুরী মহেবুল্লাহ আবু নূর (৫১) কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি এবং একই সঙ্গে তিনি ঠাকুরগাঁও জেলা যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

সদর থানার ওসি ফিরোজ কবির বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ছোট খোঁচাবাড়ি এলাকায় গাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টার সময় যুবদল নেতা
চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নূরকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় তার কাছ থেকে পেট্রোল ও টুকরো ইটভর্তি ব্যাগ পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, যুবদল নেতা আবু নূরকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাঁধা, নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

এদিকে যুবদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, কয়েকজন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল করে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি মাহেবুল্লাহ আবু নূর সাংগঠনিক কাজে খোঁচাবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে আটক করে মারধর করে পুলিশে দেন।

সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী বলেন, এলাকার কয়েকজন যুবলীগ নেতা শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় তাঁরা কয়েকজন যুবককে সড়কে চলাচলকারী গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখেন। তাঁরা বিষয়টি তাঁকে জানান। তিনি তাৎক্ষণিক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ওই যুবকেরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান এবং একজনকে আটক করা হয়। তাঁর কাছ থেকে পেট্রল ও ব্যাগভর্তি ইট পাওয়া যায়। এসময় জানতে পারি- সে জেলা যুবদলের সভাপতি। পরে খবর দিলে পুলিশে এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।

তবে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন বলেন, যুবলীগ নেতা-কর্মীরা যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টার যে অভিযোগটি করছেন, তা সঠিক নয়। মহেবুল্লাহ আবু নূর সাংগঠনিক কাজে খোঁচাবাড়ির দিকে যাচ্ছিল। সে সময় যুবলীগ কর্মীরা তাঁর পথ আটকে মারধর করে পুলিশে দেন।