ঢাকা উত্তর সিটির উপ-নির্বাচন ২৬ ফেব্রুয়ারি

আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই দিন ঢাকার দুই সিটিতে যুক্ত হওয়া নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার বিকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বেলা তিনটায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, দুই সিটিততে ভোটগ্রহণ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। আলাদা আলাদাভাবে তিনটি তফসিল ঘোষণা করা হবে ৯ জানুয়ারি।

এছাড়া আজ গাইবান্ধা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি দলের দুইজন সংসদ সদস্য মারা যাওয়ায় শূন্য হওয়া দুটি আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। দুটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৩ মার্চ। আর এই দুই আসনের তফসিল ঘোষণা হবে ৫ ফেব্রুয়ারি।

২০১৫ সালের এপ্রিলে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ভোট হয়েছিল। আড়াই বছরের মাথায় ৩০ নভেম্বর মারা যান উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হক। এরপর ১ ডিসেম্বর থেকে তার পর শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী মেয়র বা কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের আগে যদি কোনো পদ শূন্য হয়, তবে ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচন হবে। এই হিসাবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেখানে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে।

তবে এই নির্বাচন নিয়ে আইনি প্রশ্ন উঠে আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর পর। ২০১৫ সালের এপ্রিলের ভোটের পর দুটি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ১৮টি করে নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী কাউন্সিলরদের মেয়াদ পাঁচ বছর। কিন্তু ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র নির্বাচিত হবে আড়াই বছরের জন্য। আবার কাউন্সিলররা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হলে আড়াই বছর পর আবার সিটি নির্বাচনে নতুন কাউন্সিলরদের মেয়াদের কী হবে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে।

তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পরে জানানো হয়, ভোট নিয়ে কোনো আইনি জটিলতা নেই। আর জানুয়ারির প্রথম ভাগেই তফসিল ঘোষণার বিষয়েও জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

এরই মধ্যে এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ থেকে সংকেত পেয়ে ভোটের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম। তিনি গত শনিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকও করে এসেছেন। বৈঠক শেষে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী তাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন।

আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিও ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আড়াই বছর আগের ভোটে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালই আবার বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা আবদুল আউয়াল মিন্টু। তবে এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা হয়নি।