তামিমের সেঞ্চুরি

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৩৯ ওভারে ২১৪/২। তামিম ইকবাল ১০০, মুশফিকুর রহিম ৬২।
আউট: সৌম্য সরকার ২৮, ইমরুল কায়েস ১৯।

তামিমের নবম শতক: ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তামিম ইকবাল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি দ্বিতীয় কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সেঞ্চুরি। ২০০৬ সালে প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন শাহরিয়ার নাফিস।

তামিম-মুশফিক জুটির শতক: তৃতীয় উইকেট জুটিতে শতরান যোগ করেছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। ইংলিশ বোলারদের কড়া শাসন করছেন দুই ব্যাটসম্যান। ৩৭তম ওভারের শেষ বলে ১ রান নিয়ে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছায় তাদের জুটির রান।

মুশফিকের অর্ধ-শতক: জো রুটের বলে বাউন্ডারি মেরে অর্ধ-শতক পূর্ণ করলেন মুশফিকুর রহিম। ৪৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৫তম অর্ধ-শতকের স্বাদ পেলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।

তৃতীয় উইকেটে অর্ধশত রানের জুটি: তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে অর্ধশত রানের জুটি গড়েছেন। তাদের দুজনের ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশের রানের চাকা। ইংলিশ বোলারদের চাপে রেখে প্রায় প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি তুলে নিচ্ছে দুই ব্যাটসম্যান।

তামিমের অর্ধশতক: প্লাঙ্কেটের অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে কাট করে বল বাউন্ডারিতে পাঠালেন তামিম ইকবাল। ৪৬ থেকে তামিম পৌঁছে গেলেন ৫০ রানে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তামিমের ৩৭তম অর্ধশতক, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয়। ৭১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ব্যক্তিগত ল্যান্ডমার্কে পৌঁছেছেন তামিম।

শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ: ২১তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশকে তিন অঙ্কের ফিগারে নিয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিম। প্লাঙ্কেটের বলে অফ ড্রাইভে বল বাউন্ডারিতে পাঠান মুশফিক।

ইমরুল কায়েস সাজঘরে: সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর তামিমকে সঙ্গে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েছিলেন ইমরুল কায়েস। দারুণ ব্যাটিং করছিলেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ২০তম ওভারে এ জুটি ভাঙেন লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট। ডাউন দ্যা উইকেটে এসে মিড অফে ক্যাচ দেন ১৯ রান করা ইমরুল। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে বল তালুবন্দি করেন উড।

স্টোকস ফেরালেন সৌম্যকে: ১২তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ইংল্যান্ডকে সাফল্য এনে দিলেন বেন স্টোকস। তার করা অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে আপার কাট করতে গিয়ে ডিপ কভারে ক্যাচ দেন সৌম্য সরকার। ৩৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করেন সৌম্য। ১১ রানে জীবন পাওয়া এ ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় সুযোগেও নিজের ইনিংসকে বড় করতে পারেননি।

বাংলাদেশের অর্ধশত: ১১তম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের রান ৪৮ থেকে ৫২ এ নিয়ে যান সৌম্য সরকার। শুরুর দিকে ধীর গতিতে ব্যাটিং করলেও উইকেটে সেট হয়ে দারুণ ব্যাট করছেন তামিম ও সৌম্য।

ধীর গতিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ: টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম রান পায় ইনিংসের নবম বলে। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে প্রথম বাউন্ডারি আসে সৌম্যর ব্যাট থেকে। চতুর্থ বলেও দারুণ ড্রাইভে বাউন্ডারি তুলে নেন সৌম্য। এরপর তামিম উইকেটরক্ষকের উপর দিয়ে, লং অন ড্রাইভ করে এবং লেগ সাইডে ফ্লিক করে তিনটি বাউন্ডারি তুলে নেন। প্রথম দশ ওভারে বাউন্ডারি থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৪ রান।

জীবন পেলেন সৌম্য: জ্যাক বলের করা সপ্তম ওভারের শেষ বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন সৌম্য সরকার। বল তালুবন্দি করেও ছেড়ে দেন মঈন আলী। ১১ রানে দ্বিতীয় জীবন পান সৌম্য।

টস: ওভালে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক এউইন মরগান টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। টসের সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছেন, টস জিতলে তিনিও বোলিং নিতেন।

তিন পেসার নিয়ে বাংলাদেশ: মাশরাফি বিন মু্র্তজার সঙ্গে ২২ গজের ক্রিজে হাত ঘুরাবেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। তিন পেসারকে নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাড়তি ব্যাটসম্যান হিসেবে ইমরুল কায়েসকে একাদশে নেওয়া হয়েছে। স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল।

ইংল্যান্ড দল: এউইন মরগান (অধিনায়ক), মঈন আলী, জেক বল, জস বাটলার, অ্যালেক্স হেলস, লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট, জো রুট, জেসন রয়, বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস ও মার্ক উড।

আবার ইংল্যান্ড-বধ?: বড় মঞ্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ দুই মুখোমুখিতে দুবারই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের মাটিতে পরে ব্যাটিং করে ইংলিশদের হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ইংলিশদের মাটিতে নামিয়ে এনেছিল মাশরাফির দল। আজ আবার ইংল্যান্ড-বধ করবে বাংলাদেশ? সবশেষ পাঁচ মুখোমুখিতে বাংলাদেশ দল জিতেছে তিনটিতে। ইংল্যান্ডের জয় দুটিতে।