দুই দশকে বিধ্বংসী যত ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছে বিশ্ব

শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত এলাকা। ২০০০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ১০টির বেশি বড় ধরনের ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছে বিশ্ব।

২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারি। ৫১তম প্রজাতন্ত্র দিবসের উৎসবে মাতোয়ারা ভারতবাসী। ঠিক সে সময় ৭ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে দেশটির গুজরাট রাজ্য। স্মরণকালের ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ১৪ হাজারের বেশি মানুষ, আহত হন দেড় লাখের বেশি। গৃহহীন হয়ে পড়েন কয়েক লাখ মানুষ।

এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইরানের বাম শহরে আঘাত হানে ৯ দশমিক এক পাঁচ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। রাজধানী তেহরান থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানা শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ৩১ হাজার মানুষ।

ঠিক এক বছর পর বক্সিং ডে উদযাপনের সময় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূল। ৯ দশমিক এক ৫ মাত্রার শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে পুরো ভারত মহাসাগর। সুনামির আঘাতে ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি গৃহহারা হয়ে পড়েন ২০ লাখের বেশি মানুষ।

২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর পাকিস্তানের আঘাত হানে আরেক শক্তিশালী ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া কাশ্মীরে মারা যান প্রায় দেড় হাজার।

২০০৮ সালে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যায় বহু স্থাপনা। প্রাণ হারান ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।

এর দুই বছর পর ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি ক্যারিবীয় অঞ্চল হাইতিতে আঘাত হানে আরেক শক্তিশালী ভূমিকম্প। ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড স্থায়িত্বের শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে প্রাণ হারান আড়াই লাখের বেশি মানুষ। বাস্তচ্যুত হন ১৫ লাখের বেশি।

পরের বছরের ১১ মার্চ জাপানে আঘান হানে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের পর সুনামিতে প্রাণ হারান প্রায় ১৬ হাজার মানুষ। আহত হন সাড়ে ৫ হাজারের বেশি। ধ্বংস হয়ে যায় ১৯৮৬ সালের তৈরি একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রও।

এর চার বছর পর ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল নেপালে আঘাত হানে দেশটির স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প। ধ্বংস হয়ে যায় বহু স্থাপনা। তিন সপ্তাহ ধরে চলে দফায় দফায় ভূমিকম্প। প্রাণ হারান ৯ হাজারের বেশি মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি হয় ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।

২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে ইন্দোনেশিয়ার সুলায়াসি দ্বীপ। ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয় পুরো দ্বীপ। ১ দশমিক ৫ মিটারের সুনামিতে ধ্বংস হয়ে যায় সবকিছু। প্রাণ হারান চার হাজারের বেশি মানুষ।