‘দূতাবাসের রিপোর্টেও ধরপাকড়-নির্যাতনের তথ্য উঠে এসেছে’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে প্রার্থীসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ধরপাকড়, হয়রানি ও নির্যাতন চলছে আমরা সে বিষয়ে তাদের বলেছি। দূতাবাসের রিপোর্টেও এসব তথ্য উঠে এসেছে। তাই তারাও আমাদের সঙ্গে এসব বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেননি।’

বুধবার বিকেলে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। বেলা ২টার দিকে গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে এ বৈঠক শুরু হয়।

প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠক শেষে বিকেল ৫টার দিকে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘কূটনীতিকরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন।’

গণফোরামের এ সভাপতি বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমার ওপর হামলা হতে পারে- এটা আমি ভাবতেই পারিনি।’

নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিন্ড তৈরি হয়নি দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে বৈঠক থেকে বের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বরার্ট আর্ল মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সব পক্ষকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।’

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হয়রানি করা হচ্ছে এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।’

তিনি বলেন, ‘বিদেশিরা আমদের নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছিল, আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের কথা বলেছিল, কিন্তু এখনও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়নি সেটা আমরা তাদের জানিয়েছি।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত এ বৈঠকে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

অন্যদিকে ঐকফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।