দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিশু সাফিন বাঁচতে চায়

দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ফুটফুটে শিশু সাফিন ইসলাম। বয়স ২ বছর। বাবা সুমন ইসলাম একজন শ্রমিক। লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্ধেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা। দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে বাঁচতে আকুতি ফুটফুটে শিশুটির।

শিশুটির বাবা সুমন মিয়া জানান, তার ছোট ছেলে সাফিন জন্মগতভাবে বাম পায়ের গোড়ালির নিচ থেকে ফুলা। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার পায়ের ফুলা বাড়তে থাকে। শিশু সাফিনের পায়ের ফুলা না কমায় চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক শাহিন শাহের নিকট শিশুটিকে নিয়ে যান।চিকিৎসক পরীক্ষা নিরিক্ষার পর শিশুটিকে অপারেশন করাতে ঢাকা শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তার জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করারও নির্দেশ দেন ওই চিকিৎসক। অথচ শিশুটির পিতা সুমন মিয়া রয়েছেন নানামুখী চিন্তায়। তিনি ৪ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক কাজ নেন রেল বিভাগে। এর মধ্যে ৩ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে। নিজস্ব কোন জমিজমা নেই। খাস জমিতে রয়েছে ভিটেমাটি। স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে নিয়ে কোন রকমে সংসার চালান। আবার শিশু সাফিনের দূরারোগ্য রোগ তাদের চিন্তায় ফেলেছে। কোনখানে কাজ করতে মন বসেনা। শুধু শিশুটির মলিন চোখ পড়ে মনে। শিশুটির চিকিৎসা সেবার সহযোগিতায় সকলের এগিয়ে আসার আহবান করছেন সুমন মিয়া। ছেলেকে অপারেশনে করাতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসা করাতে দেনাসহ সম্ভাব্য সব টাকার উৎস শেষ হয়ো গেছে। এখন সুমন মিয়া ছেলের চিকিৎসার জন্য কি করবেন উপায় পাচ্ছেন না। ফুটফুটে শিশু সাফিনকে বাঁচাতে সকলের এগিয়ে আসার আহবান ও আকুতি সুমন মিয়ার।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক শাহীন শাহ্ বলেন, শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করাতে হবে। না হলে তাকে বাঁচানো অসম্ভব।