দেশে আরও একটি লোহার খনির সন্ধান মিললো

দিনাজপুরে ফের লোহার খনির সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। প্রথম লোহার খনির মতো দ্বিতীয় খনিতেও লোহার পাশাপাশি মূল্যবান কপার, নিকেল ও ক্রোমিয়াম রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভূগর্ভের অভ্যন্তরে সম্পদের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্যে কূপ খনন শুরু করেছে অনুসন্ধানী দল। এপ্রিলের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খনন হতে পারে।

জানা গেছে, দেশের প্রথম লোহার খনি দিনাজপুরের হাকিমপুর এবং দ্বিতীয়টি চিরিরবন্দর উপজেলার ১০নং পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজায় খনির সন্ধান মিলেছে। নতুন লোহার খনির সন্ধান পাওয়ায় খনির সম্ভাব্যতা ও যাচাই কার্যক্রম শুরু করেছেন জিএসবি’র কর্মকর্তারা। প্রথম তিন মাস কূপ খনন করে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান কাজ চালাবে। এজন্য কেশবপুর থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হচ্ছে।

জিএসবি’র পরিচালক আবদুল আজিজ পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি জেলা প্রশাসক পেয়েছেন বলে তথ্য নিশ্চিত করেন চিরিরবন্দর উপজেলার ১০নং পুনট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর-এ-কামাল।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ১০নং পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজায় খনির সন্ধান মিলায় সংরক্ষিত এলাকায় বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে কূপ খনন কাজ উদ্বোধনের আশা করছেন জিএসবি।

জিএসবি থেকে পাঠানো চিঠিতে কেশবপুর এলাকায় জিডিএইচ-৭৬/২১ কূপ খনন কার্যক্রমে বহিরাঙ্গনে অবস্থানকালীন সময়ে কর্মকর্তাদের আনুসাঙ্গিক সহায়তা, নিরাপত্তা, তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ, যাতায়াত, পথ প্রদর্শন প্রদানে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে। পুলিশ সুপার, চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চিরিরবন্দর থানাকেও এসংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে জিএসবি।

লোহার খনিতে যাতায়াতের কাজে সহযোগিতার জন্যে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক, চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শাখা।

শাখার পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আবদুল আজিজ পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, জিএসবির নিম্নবর্ণিত ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব খাতে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ১০নং পুনট্টি ইউনিয়নের কেশকবপুর এলাকায় জিডিএইচ ৭৬/২১ কূপ খনন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় ৪ মাসে দিনাজপুর জেলায় ৫ জন কর্মকর্তা ভ্রমণ ও অবস্থান করবেন। এ সময়ে কর্মকর্তাদের আনুষঙ্গিক সহায়তা (নিরাপত্তা, তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ, যাতায়াত, পথ প্রদর্শন ইত্যাদি) প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।

চিঠিতে উল্লেখিত কূপ খনন কাজে দল-প্রধান হিসাবে রয়েছেন উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) নিহাজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) নাজমুল হোসেন খান, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মঞ্জুর আহমেদ এলাহী ও সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) রোকনুজ্জামান।

চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দিকা চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি এসেছে। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কূপ খননের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।