দেড় বছরের রেকর্ড ভাঙল গত মাসের মূল্যস্ফীতি

ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। সেই হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে দেশে ১৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, একই পণ্য বা সেবা পেতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১০৬ দশমিক ১৭ টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে দেশের বাজারে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছিল ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশে। চলতি বছর জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে এই মূল্যস্ফীতি দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে খাদ্যে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে যা ছিল ৬ দশমিক ১০ শতাংশ।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩০ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।

বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। গত বছরের একই মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ, যা গত বছরের একই মাসে ছিল ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এদিকে শহর ও গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতিতে একধরনের তারতম্য দেখা গেছে। গ্রামে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। গত বছরের একই মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।

অন্যদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে শহরাঞ্চলেও সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ হয়েছে। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। গত মাসে শহরাঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।