নওগাঁর ১০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে পাড়ি দেবে

ধানের জন্য বিখ্যাত নওগাঁ। কিন্তু বর্তমানে নওগাঁয় প্রচুর পরিমাণে আম উৎপাদন হয়। আম চাষে পাল্টে গিয়েছে চাষীদের জনজীবন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ বছর ১০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে পাড়ি দেবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ১২ মেট্রিক টন। সে হিসেবে প্রায় ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিন টন আম উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে।
সুইডেন, জার্মানি, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানসহ মোট ৮টি দেশে নওগাঁর আম রপ্তানি হবে।

সাপাহার উপজেলার ‘সাপাহার বরেন্দ্র এগ্রো পার্কের তরুণ উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, চলতি মৌসুমে ৭০ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছি। এ বছর আম্রোপালি, বারি-৪, গৌড়মতি, ব্যানানা ম্যাংগো ও কাটিমন এবং বিদেশি জাতের অস্টিনসহ কয়েক জাতের আম রপ্তানির করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানির উদ্দেশ্য হচ্ছে ভালো দাম পাওয়া। দেশে যে দাম পাওয়া যায় তার থেকে দ্বিগুণ দাম পাওয়া যায় বিদেশে

পোরশা উপজেলার ঘাটনগর গ্রামের আমচাষি আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমি ৭৫ বিঘা জমিতে সাড়ে ৯ হাজার ব্যানানা ম্যাংগো আমের গাছের বাগান গড়ে তুলি। বাগানের ৭০ হাজার আমে ফ্রুটব্যাগিং (চাইনা প্যাকিং কাগজ) করা হয়েছে। প্রতিটি ব্যাগে খরচ পড়েছে ৪ টাকা থেকে সাড়ে ৪ টাকা। ফ্ররুটব্যাগিং করায় কীটনাশকের খরচ কম পড়ছে।

পোরশা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, এ উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আম বাগান গড়ে উঠেছে। কীটনাশক ও রোগবালাই মুক্ত থাকতে এসব বাগান থেকে প্রায় ৫০ লাখ আম ফ্ররুটব্যাগিং পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে করে নিরাপদ ও গুণগত মানসম্পন্ন আম আমরা পাবো। ইতোমধ্যে চাষিদের কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামছুল ওয়াদুদ বলেন, গত বছর ১৫ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি হয়েছিল। এ বছর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দেশি ও বিদেশি জাত মিলে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। এতে কয়েক কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যাবে।