নওগাঁয় বিলম্ব ও বাড়তি খরচে আমন ধান লাগানো শুরু হয়েছে

মৌসুমের প্রায় অর্ধ মাস পেরিয়ে গেছে।অনাবৃষ্টি আর শ্রমিক সংকট।অবশেষে সামান্য বৃষ্টিকে পুঁজিকে করে সনাতন পদ্ধতি মিশিং দিয়ে পানি উৎপাদন করে তা জমিতে আমন চাষের উপযোগী করা হচ্ছে। একদিকে জ্বালানি তেলের সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি তার সাথে বেড়েছে সারের দাম।বর্ষা মৌসুমেও পানি সেচের বাড়তি খরচ, সারের মূল্য বৃদ্ধি অপরদিকে বিঘা প্রতি ১২০০ ( ৩৩ শতক) টাকায় চুক্তি ভিত্তিকভাবে ধান লাগাচ্ছেন শ্রমিকেরা।

এ যেন কৃষকের কাঁটা ঘায়ে, লবনের ছেঁটা। পত্নীতলা সদর নজিপুর পৌরসভার ছোঁট চাঁদপুর বাসিন্দা বর্গা চাষী শামসুল হক বলেন, আমার নিজস্ব কোন জমি নেই মোটামুটি ৪ বিঘা জমি আমি বর্গা চাষ করি বর্তমানে কল মিশিং দিয়ে পানি সেচ,সার কীটনাশকের দাম আর শ্রমিকের মজুরি সব মিলিয়ে যে খরচ আবার ধান উঠার পর অর্ধেক জমির মালিককে দিতে হয় সেখানে লাভের থেকে খরচটা উঠাতে পারবেন কী না তা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষকের মনে।

কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে এ স্লোগান যেন শুধুই বক্তৃতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষকের অভিযোগ সরকার যখন কৃষকের কাছে ধান কিনেন তখন সেখানে আমাদের জায়গা হয়না। সিন্ডিকেট করে ধনী ব্যক্তিদের ধান ক্রয় করা হয়, আমরা সহজ সরল মানুষ এগুলোর কিছুই বুঝিনা বলে আক্ষেপ করেন তারা।

সীমান্তবর্তী নওগাঁ জেলার এ উপজেলাটি ধানের রাজ্য, কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে কৃষক ধান উৎপাদনে আগ্রহ হারাচ্ছে, অনেকেই ঝুঁকছেন আম,পেয়ারা,মালতা, বরুই ইত্যাদি চাষে।গেলো কয়েক বছরে উপজেলাটিতে রেকর্ড পরিমান বিভিন্ন ফলজ বাগান তৈরি হয়েছে। কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, এভাবে চলতে থাকলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। বর্তমানে স্বর্না-৫, পরশমনি ইত্যাদি জাতের ধান লাগাচ্ছেন কৃষকেরা সাথে বীজ বুনছেন চীনা আতবের।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে জ্বালানি, সার থেকে প্রতিটি পণ্যে এর মূল্য বৃদ্ধি সংকট, লুকোচুরি, কৃত্রিম সংকট দেখা যাচ্ছে বলে সচেতন মহলের ব্যক্তিগণ মতামত প্রকাশ করছেন।