নরসিংদীতে পুলিশের ওপর হামলা, ২ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল নিলক্ষায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে টেটাযুদ্ধ চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় হামলাকারীরা পুলিশের ওপর পাল্টা হামলা চালালে চার পুলিশ আহত হন। পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় রায়পুরা থানার এস আই আব্দুল হালিম বাদী হয়ে সোমেদ আলীকে প্রধান করে ৯৬ জনের নামে এবং শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় টেটা যুদ্ধের প্রধান নেতা সোমেদ আলীকে প্রধান করে ৯৬জনের নামে ও শতাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিসহ ২ শতাধিক লোককে আসামি করা হয়। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. আওয়াল মিয়া (৬০), মো. রহমত উল্লাহ (১৯), মো. শাহিন মিয়া (১৯), মো. আওলাদ হোসেন (১৯), মো. দুলাল মিয়া (২৫), মো. জাকির হোসেন (২৬), মো. লাল চান (৫০), মো. মুসা মিয়া (১৯), দিপু রহমান (২০), বিল্লাল জামান (২০) ও আব্দুল্লাহ (২৪)।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে শহীদ মেম্বার ও সোমেদ আলী গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। কিছু দিন পর পর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন মরণনেশা টেটাযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিবারেই ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এরই জের ধরে সর্বশেষ সংঘর্ষের ঘটনায় সোমেদ আলীর লোকজন দীর্ঘ দিন ধরে এলাকা ছাড়া।

১৯ জুলাই ঘটনার দিন সকালে এলাকার বাইরে থাকা সোমেদ আলীর লোকজন তার দলবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে শুর হয় টেটাযুদ্ধ। এসময় মোখলেছ মিয়া নামে একজন টেটাবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। টেটাবিদ্ধ হয়ে গুরতর আহত হন আরও অন্তত ৩০ জন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় মামলা করতে আসেনি বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্ঠাকালে হামলাকারীরা পুলিশের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এসময় চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় ৯৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করে আদালাতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।