নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।নিহত শ্রমিকদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপসহকারী পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ‘ভবনের চারতলায় কলাপসিবল গেট বন্ধ ছিল। ফলে কেউ সেখান থেকে বেরোতে পারেননি। মরদেহ বেশির ভাগই পাওয়া গেছে চারতলায়।’

তিনি বলেন ‘সাততলা ভবনটির নিচতলায় ছিল কার্টন তৈরির কারখানা। সেখানেই প্রথমে আগুন লাগে। বের হতে অনেকেই গেটের কাছে গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পান।

‘এরপর শ্রমিকরা ভবনের ওপরে উঠে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও ভবনের ছাদ তালাবদ্ধ দেখতে পান। ফ্লোর ও ছাদের কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ না থাকলে এত হতাহত হতো না।’

এদিকে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। আগুন লাগার পর অনেকেই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে বাঁচার চেষ্টা করে গুরুত্বর আহত হন।

এপর্যায়ে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে আসার পর ভোরের দিকে আবারো বেড়ে যায় আগুন।

নিখোঁজদের স্বজনরা জানান, সন্ধ্যারপর থেকে কারো সাথে কোন যোগাযোগ নেই।

এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট। কিন্তু বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেনেন্স বিভাগের উপপরিচালক দেবাসীস রঞ্জন।