নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়া সামনের সারিতে : রিজভী

দেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতিবিদ হিসেবে খালেদা জিয়া সামনের সারিতে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (২২ মে) দুপুরে এক বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের নতুন ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি চানখাঁরপুলে যায়।

খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে দেশের জনগণ একাধিকবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তার সময়ই মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা চালু হয়। এছাড়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি আপোষহীন।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথায় বিস্মিত দেশবাসী।

মিছিলে বিএনপি নেতা আরিফুর রহমান নাদিম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. জাহেদুল কবির জাহিদসহ অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তারা ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে: দুদু

রাস্তার আন্দোলনর ছাড়া সরকারের পতন সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেছেন, এই সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। তাই সভ্য, গণতন্ত্র, নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন করা সম্ভব না। তাই আগামীতে রাস্তার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

রোববার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবিধানিক অধিকার ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে’ এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশের যে সংকট তা সমাধান হতে পারে খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে। দেশে যে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে সরকার, তা মীমাংসা হতে পারে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। বাংলাদেশে যে ভয়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ- ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পতাকা উড়িয়েছিলেন সেই জায়গায় ফিরে যাওয়া। এর বাইরে আর কোনো পথ নেই।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, কেউ যদি মনে করে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, তাহলে এটা ভুল চিন্তা করবে। আবার আমরা শুধু যে নির্বাচনে যাবো না এই পর্যায়ে থাকবো, এটা ভাবাও ঠিক হবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের দল, স্বাধীনতার ঘোষকের দল, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের দল। এই দল অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করে না।

বিএনপির এ নেতা বলেন, এ সরকারের আমলে এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই যার দাম বাড়েনি। খালেদা জিয়ার আমলে তেলের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা লিটার, চালের দাম ছিল সর্বোচ্চ ১৬ টাকা। আর এখন তেলের দাম ২০০ টাকা, তাও পাওয়া যায় না। চালের দাম কতো তা আপনারা তো জানেন। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাতে হলে খালেদা জিয়া সরকার দরকার। এর কোনো বিকল্প আছে এটা আমি মনে করি না।

সাবেক ছাত্র নেতা সুরেঞ্জেন ঘোষের সভাপতিত্বে ও দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।