নায়ককে শিক্ষা দিলেন ভিলেন

‘বিদ্রোহী মনসুর’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন পরিচালক সেলিম বাহারের সাথে ঘটনাক্রমে খলিল উদ্দিনের পরিচয় ঘটে। যিনি একজন স্কুল শিক্ষক। এক সময় থিয়েটার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। এখনো সময় পেলে তিনি নাট্য চর্চা করেন।

হঠাৎ খলিল মাস্টারকে পরিচালক ফোন দিয়ে জানান ‘বিদ্রোহী মনসুর’ সিনেমার একটি বিশেষ দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য। তার চরিত্র গডফাদার। যিনি আড়ালে থেকে এশিয়ায় অস্ত্র ব্যবসা করেন। এই দৃশ্যে তার সহ অভিনেতা এই সময়ের জনপ্রিয় হিরো জিমি খান। যে জিমি খান শুটিং সেটে কাউকে তোয়াক্কা করেন না।

ইচ্ছামত শুটিংয়ে আসেন যান। দৃশ্য বাদ দিয়ে দেন। পরিচালক তার কাছে অসহায়। খলিল মাস্টার রীতিমত ভিলেনের অনুশীলন শুরু করেন। এফডিসিতে যান শুটিং করতে। খলিল মাস্টার ভিলেনের পোশাক পরে অপেক্ষায় থাকেন। অবশেষে তার দৃশ্য শুরু হবে। শিক্ষকতা জীবন থেকে যিনি শিক্ষার্থীদের শিখিয়েছেন সবার পেশাকে ভালবাসতে কারণ সেটাই তার কাছে দেশ।

খলিল সাহেব অবাক হয়ে যান, যখন দেখতে পান শিল্পীরা শিল্পী পরিচয় দিতে ভালবাসেন, শিল্পের মধ্যে থাকতে, খেতে, ঘুমাতে ভালোবাসে কিন্ত শিল্পকে ভালোবাসে না। পেশাটাকে তারা সম্মান করেন না। সময়ের জনপ্রিয় হিরোকে একটি চিরকুট দিয়ে যান খলিল সাহেব।

জিমি খান এবার হন্য হয়ে খলিল সাহেবকে খুঁজতে থাকেন। খলিল সাহেবকে কোথায়ও পাওয়া যায় না। চিরকুটটি জিমি খানকে অতীতে নিয়ে যায়। আজ খলিল সাহেবকে তার ভীষণ দরকার।

চমৎকার এই গল্পের নাটকে নায়ক জিমি খান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা ইমন। খলিল মাস্টার চরিত্রে তারিক আনাম খান ও নায়িকা চরিত্রে নওশাবা আহমেদ। আরও আছেন সুমন পাটোয়ারী, ডন, শেলি আহসান, জয়নাল জ্যাক প্রমুখ।

সেরনিয়াবাত শাওনের চিত্রনাট্যে মনজুরুল আলমের পরিচালনায় নাটকটি প্রচারিত হবে ঈদের ষষ্ঠ দিন সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে।