নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে সাগরে নৌবাহিনীর ১৫ জাহাজ

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কারণে বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে নৌবাহিনী। এরই মধ্যে নৌবাহিনীর ১৫টি জাহাজ, একটি হেলিকপ্টার ও একটি টহল বিমান কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, চট্টগ্রাম ও খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলসহ গভীর সুমদ্রে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেছে।

বুধবার নৌবাহিনী সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে নৌবাহিনীর পরিচালক (অপারেশন) কমোডর মির ইরশাদ আলী জানান, পাঁচটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নৌবাহিনীর জাহাজগুলো বাংলাদেশের পুরো সমুদ্রসীমায় একযোগে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে। উদ্ধার অভিযান চলাকালে বানৌটা খাদেম কুতুবদিয়ার কাছে গভীর সমু্দ্রে বিকল হওয়া ডুবন্ত নৌকা থেকে ২০ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা সবাই সুস্থ বলেও জানানো হয়।

মির ইরশাদ আলী আরও জানান, সেন্টমার্টিন ও কুতুবদিয়ার দুর্গত এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ত্রাণ বিতরণ করছে নৌবাহিনী জাহাজ সমুদ্র অভিযান ও খাদেম। জরুরি ত্রাণসহায়তার মধ্যে রয়েছে পাঁচ টন চাল, দুই টন ডাল, তিন টন মুড়ি, আট টন চিড়া, দুই টন গুড়, তিন হাজার পিস মোমবাতি, ৩০০ কেজি পলিথিন ব্যাগ, ১০০ প্যাকেট ম্যাচবক্স ও ২০ টন বিশুদ্ধ খাবার পানি।

এছাড়া দুর্গত এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার জন্য ২৩ সদস্যের দুটি বিশেষ মেডিকেল টিম কাজ করছে বলেও জানান নৌবাহিনীর এ কর্মকর্তা।

তিনি জানান, মেডিকেল টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করছে। সকাল থেকে সেন্টমার্টিনের নৌ-কন্টিনজেন্টে ব্যাপকসংখ্যক মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।

নৌবাহিনীর উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা দুর্যোগ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানান কমোডর মির ইরশাদ আলী।

তিনি জানান, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য নৌবাহিনীর একাধিক কন্টিনজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে, যারা ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণসহায়তাসহ নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।