নিশ্চিত ধ্বংসের পথে ইসলামী ব্যাংক : আহসানুল

স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে ২০১৬ সালে ইসলামী ব্যাংকে যোগ দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ। পরে তাকে ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান করা হয়। পেশাগত জীবনে ক্লীন ইমেজের অধিকারী এ অধ্যাপককে ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয় সরকারের ইঙ্গিতে। বিতর্কিত ব্যক্তি না হওয়ায় তাকে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যেও পরিচালক করায় ব্যাংক পাড়ায় তাকে নিয়ে গুঞ্জন হয়নি।

পেশাগত দক্ষতার জন্য তাকে নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের লোকজনও উচ্চ-বাচ্য করেনি।

এখন সেই ব্যাংকে অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। ইসলামী ব্যাংকের ইতিহাসে ইনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্যাংকের অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেছেন। ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মধ্যে দিয়ে তিনি প্রথম কথা বলা শুরু করেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৩ মে) ইসলামী ব্যাংকের এজিএম এ তাকে ভাইস-চেয়রাম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। একইসঙ্গে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন এখন থেকে ইসলামী ব্যাংকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদ একটি থাকবে।

পরিস্থিতি, ইসলামী ব্যাংকের ভবিষ্যত, নিজের অবস্থান ও ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনার বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন না মানার প্রবণতা উল্লেখ করে পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এক বিবৃতিতে বলেছেন, এমতাবস্থায় সম্মানিত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব।

বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ভাড়া করা এজিএম পার্টির লোক, নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শেয়ার হোল্ডার, শেয়ার হোল্ডার নন- এমন লোকজন ভাড়া করে এনে বার্ষিক সাধারণ সভায় কয়েকজন পরিচালকের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করা হয়েছে।

এজিএমের নামে নজিরবিহীন নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। নিশ্চিত ধ্বংস ও চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম বহির্ভূত অপব্যবস্থাপনার ব্যাপারে কিছু করার শক্তি না থাকলে সম্মানিত পরিচালকদের পরিষদে থাকা অর্থহীন।

উল্লেখ্য, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন আসে গত ৫ জানুয়ারি। এরপর থেকে ব্যাংকটিতে নানা পর্যায়ে অস্থিরতা দেখা যায়। এর মধ্যে ব্যাংকটির অন্যতম উদ্যোক্তা ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) প্রতিনিধি গত ৩০ মার্চ পরিচালনা পরিষদের সভায় শেয়ার ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন। তখন থেকে ব্যাংকটিতে আবারো মালিকানা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।