নিষেধাজ্ঞার কারণে হাটে নয়, এবার অনলাইনে গরু বিক্রি ভারতে

ভারতে সম্প্রতি কৃষিকাজ ছাড়া অন্য যে কোনও কারণে গরুর কেনাবেচার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন গরু ব্যবসায়ীরা। তার উপর রয়েছে গো-রক্ষকদের তাণ্ডব। আইনি পথে গরু নিয়ে যাওয়ার সময়ও আক্রান্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বাধ্য হয়ে বিকল্প পন্থা খুঁজছেন অনেকে। কেউবা গরুর ব্যবসাই ছেড়ে দিতে চাইছেন। বিক্রি করে দিতে চাইছেন বাড়ির গরুও। আর তাই দ্বারস্থ হচ্ছেন OLX-এর মতো ওয়েবসাইটের।

আর এ নিয়ে চলছে নানান আলোচনা সমালোচনাও। বলা হচ্ছে, এই হল আসল ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া। ’ অবশ্য ঠাট্টার ছলেই এমন কথা শুনা যাচ্ছে লোকমুখে। কিন্তু কারণটা কী? এর কারণ, সম্প্রতি এক রিপোর্টে ফাঁস হয়ে গিয়েছে যে, OLX -এর মতো ওয়েবসাইটে রমরম করে চলছে গরুর কেনাবেচা। ওয়েব প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে চলছে গরুর বিকিকিনি। মিলছে ২০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।

যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীর রবি শর্মা। তাঁর দেশি বাদামি গরুটিকে ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন অনলাইনে। তবে ক্রেতা ঠিক কী কারণে গরুটি কিনবেন, সেটা তাঁকে আগাম জানাতে হবে। বিজ্ঞাপনে রবি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের তিনি ওই গরু বিক্রি করতে চান না।

গাজিপুরের ভীম সিং যেমন তাঁর তিনটি গরু যত দ্রুত সম্ভব বিক্রি করে দিতে চান। কারণ, তাঁর আশঙ্কা, বাড়িতে গরু রয়েছে জানতে পারলেই গো-রক্ষক বাহিনী হামলা করতে পারে। তাই ৫০ শতাংশ ছাড়ে অনলাইনে তিনটি গরুই বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।

গত ২ বছরে গরু-সহ অন্যান্য গবাদি পশু কেনাবেচার জেরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনার খবর এসেছে। গত ২৬ মে গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে রাজস্থানে ২ মাংস বিক্রেতাকে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।

এমনটা নয় যে এর আগে অনলাইনে গরু কেনাবেচা হত না। কিন্তু একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা ও উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মাঠেঘাটে গরু-মহিষ বিক্রি করার চেয়ে অনলাইনেই বিক্রি করা সহজ বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। আর তাই একধাক্কায় অনলাইনে গবাদি পশুর বিকিকিনি বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন