নিষেধাজ্ঞা উত্তরণের পথে কাতার

কাতারের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আলোচনার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হওয়ার দাবি করেছে সৌদি আরব। সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিন বছর ধরে চলা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং ওই অঞ্চলের বিবদমান সঙ্কট মোকাবিলায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে।

এর আগে কাতারের সঙ্গে সৌদির বিরোধ মেটাতে মধ্যপ্রাচ্যে সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা এবং জামাতা জেরাড কুশনার। তিনি কাতারের আমির এবং সৌদির যুবরাজ সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান জানান, ‘গত কয়েকদিনের আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে। বিরোধী নিষ্পত্তিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমারা সঙ্কট থেকে উত্তরণে পথে পেয়ে গেছি। যা সবার জন্যই মঙ্গলজনক।’

কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তার বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে কাতারের গণমাধ্যগুলো বলছে, আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল বিরোধ মেটানো এবং কাতারের বিমান যাতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপর দিয়ে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা।

অন্যদিকে মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রাথমিক চুক্তি শুধু সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে হবে। আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর তাতে থাকবে না। এই চার দেশ মিলে কাতারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ২০১৭-তে কাতারের সঙ্গে তারা কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। বিমান ও জলপথ ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

কাতার সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালে সৌদির নেতৃত্বে, মিশর, বাহরাইন এবং আরব আমিরাত মিলে দেশটির উপর অর্থনৈতিকসহ বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা দেয়। অনেকটা একঘরে করে রাখার প্রয়াস ছিল। যদিও পরবর্তীতে সঙ্কট অনেকটা কাটিয়ে ওঠে কাতার।

কাতারের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায়ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ সামরিক অস্ত্র বিক্রির পদক্ষেপ নেয় দেশটির কাছে। কিন্তু কাতারের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে বাধা দিয়ে আসছে ইসরাইল।