নিহত ‘জঙ্গি’ সাইফুলের বাবা আটক

রাজধানীর পান্থপথে হোটেল ওলিও’তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘অপারেশন আগস্ট বাইট’- এ নিহত সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের নোয়াকাঠি গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নিহত ‘জঙ্গি’ সাইফুলের বাবা আবুল খয়ের মোল্লাকে আটক করা হয়।

পুলিশের দাবি, নিহত জঙ্গি সাইফুলের বাবা স্থানীয় ইউনিয়ন জামায়াত নেতা। তিনি ওই এলাকার নবাটি মসজিদের ইমাম। ইউনিয়ন জামায়াতের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন এসব তথ্য জানান।

তিনি জানায়, হোটেল ওলিও’তে নিহত ‘জঙ্গি’ সাইফুলের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের নোয়াকাঠি গ্রামে। সে খুলনা বিএল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। ৮দিন আগে চাকরির কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় সে।

ওসি জানান, নিহত ‘জঙ্গি’ সাইফুলের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ‘অপারেশন অগাস্ট বাইট’ শেষে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, হোটেল ওলিও’তে আইনশৃঙখলা বাহিনীর অভিযানে নিহত ‘জঙ্গি’ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শোক মিছিলে হামলার পরিকল্পনা ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সে পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে।

আইজিপি বলেন, নিহত জঙ্গির নাম সাইফুল ইসলাম। তার বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায়। সে খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী। এক সময় ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।

এর আগে সোমবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ‘জঙ্গিদের’ অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর ওই হোটেলটির চার পাশ ঘিরে রাখে আইনশৃংখলা বাহিনী।

সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের হোটেল ওলিওতে জঙ্গি অবস্থানের কথা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, জঙ্গি সন্দেহে ঘিরে রাখা ওই ভবনে অস্ত্র ও সরঞ্জাম থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে সোয়াটসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।।

এছাড়া পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, ওই হোটেলের একটি কক্ষে একজন জঙ্গির অবস্থানের তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। সেখানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকও রয়েছে।

পরে মঙ্গলবার পৌনে ১০টার দিকে হোটেলটিতে ‘অপারেশন আগস্ট বাইট’ পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে অংশ নেয় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াত ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা।

অপারেশনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, হোটেলটির ৩০১ নম্বর কক্ষে নিহত ‘জঙ্গি’ আত্মঘাতী হয়েছে।