নেত্রকোণা মদন উপজেলার মদন ইউনিয়নের, আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে এমবিএ পড়ুয়া আরমান হোসেন চয়নের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো সাতবছরের।

প্রেমিকাকে না জানিয়ে চয়ন কেন্দুয়া উপজেলায় বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিষয়টি টের পেয়ে প্রেমিকা গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) চয়নের পরিবারকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায়। কিন্তু ছেলের পরিবারের মেয়েকে পুত্রবধু হিসেবে অস্বীকৃতি জানায়।

এদিকে ছেলের পরিবার তারাহুরো করে শুক্রবার (১ মার্চ) অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে এ খবর পেয়ে প্রেমিকা শুক্রবার দুপুরে ছেলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে হাজির হয়। সেখানে গিয়ে প্রেমিকা জানতে পারে যে, প্রেমিক ইতোমধ্যে বিয়ের উদ্দেশ্যে কেন্দুয়া চলে গেছেন। বিষয়টি প্রেমিকা মেনে নিতে না পেরে বিষ পান করলে, ছেলের পক্ষের লোকজন মেয়েটিকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। বর্তমানে মেয়েটি মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে চয়নের মা জানায়, তাদের দু’জনের প্রেমের বিষয়টি আগে জানলে ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে আলোচনা করতাম না।

মেয়ের বোন জানান, তাদের প্রেমের বিষয়টি আমি ছেলের বোন ও মা’কে দূর্ঘটনার তিনদিন আগেই জানিয়েছি। আমার বোন সবার বড়। আমরা ছোট তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। এই ছেলের সাথে প্রেম করায় আপা বিয়ে করেনি।

খালিয়াজুরী অফিসার ইনচার্জ.খোকন কুমার শাহা জানান, এ বিষয়টি অবগত হয়েছি। তবে, মেয়েটি চাইলে আইনের সহযোগিতা নিতে পারতো। তা না করে, বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ঠিক হয়নি। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।