ইবির বাসে বহিরাগত যাত্রী, প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে মারধর

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ও ভাড়া চালিত বাসে বহিরাগত যাত্রী উঠানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এমনকি বহিরাগতদের থেকে ভাড়া বাবদ অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছ বাসের ড্রাইভার ও হেলপারদের বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে ড্রাইভার ও হেলপার কর্তৃক অসৌজন্যমুলক আচরণ ও মারধরের শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের বাসে ড্রাইভারা শিক্ষার্থীদের না নিয়ে অন্য বহিরাগতদের নিতে বেশি আগ্রহী। এমনিতেই পরিবহন সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হয়। এর মধ্যেও বাসে বহিরাগতদের উঠানোয় আরো বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ ও মারধর করতে উদ্ধত হয়।

গত শনিবার কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে গমনের সময় এমনই ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী সানি আহমেদ মিথুনের সাথে। ক্যাম্পাসের বাসে বহিরাগত যাত্রী তুলতে বাধা দেওয়ার মারধরের শিকার হয়েছেন তিনি । মারধরের অভিযোগ উঠেছে নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪৭৪৯৫) বাসের ড্রাইভার ও হেলপারের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ক্যাম্পাসের ভাড়া বাসে উঠার সময় সানি আহমেদ দেখেন বাসের ড্রাইভার ও হেলপার বাসে বহিরাগত যাত্রী তুলছে। পরে সানি বহিরাগতদের তুলতে নিষেধ এবং দ্রুত গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা বললে বাসের হেলপার তার বাবা-মা তুলে গালাগালি শুরু করে। পরে তাকে বাস থেকেও নামিয়ে দেওয়া হয়। এসময় সে ভিডিও করতে চাইলে ড্রাইভার ও হেলপার তাকে প্রাণনাশের হুমকি এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সানি আহমেদ মিথুন বলেন, তারা আমাকে বাস থেকে বের করে দেয়। এক পর্যায়ে আমার ফোনও কেড়ে নিতে চায় তারা। আমি ফোন না দিলে মারধর করে। একজন বাস ড্রাইভার ও হেলপার কর্তৃক মারধরের বিষয়টি আমাকে চরম ব্যথিত ও লাঞ্ছিত করেছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি মেনে নিতে পারছি না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাস ড্রাইভার রোকন বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে বাসে আমার পরিচিত কয়েকজন যাত্রী ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলেছি। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। ওই চালককে ক্যাম্পাসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্য চালকরাও যেন এমন কোনো কিছু করার সাহস না পায় সেই ব্যবস্থা নিবো।

ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি খুবই অন্যায় হয়েছে। মৌখিক বক্তব্যের জন্য ওই শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি তবে তাকে পাওয়া যায়নি। আগামীকাল তার সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো।