নেত্রকোনায় আটক সেই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা

নেত্রকোনার মদনে জনতার হাতে আটক হওয়া সেই ভুয়া ডাক্তার শংকর দাসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডলের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার সকালে মদন থানায় মামলা রজু হয়েছে। মদন থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে শনিবার সকালে অভিযুক্ত শংকর দাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়া।

অভিযুক্ত শংকর দাস টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি উপজেলার কয়ড়া গ্রামের সুরেশ চন্দ্র রবিদত্তের ছেলে। প্রকৃত ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডল সাতক্ষিরা জেলার আশাশুনি উপজেলার কান্দুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি সিপিএস ফাইনাল পর্বের ট্রেইনী চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডলের বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে নেত্রকোনার মদন পৌরসদরের স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছেন শংকর দাস নামের এক প্রতারক। দুই মাসে মদন উপজেলার ৩৩৫ জন রোগীর চিকিৎসা দিয়েছেন প্রতারক শংকর দাস।

ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারেন তার নাম ব্যবহার করে চিকিৎসা দিচ্ছে প্রতারক শংকর দাস। পরে তিনি বিষয়টি মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার ভুয়া ডাক্তার শংকর দাস কে আটক করে পুলিশ হেফাজতে দেন ইউএনও। রোববার ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডল বাদি হয়ে শংকর দাসের বিরুদ্ধে মদন থানায় মামলা দায়ের করেন।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডল প্রতারক শংকর দাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে মামলা করেছে। সেই মামলায় শংকর দাসকে গ্রেফতার দেখিয়ে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে।