পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিখোঁজ জেলেদের খোঁজ নিতে ছুটে গেলেন এমপি মহিববুর

পটুয়াখালীর মহিপুরে নিখোঁজ জেলে পরিবারের খোঁজ খবর নিতে মৎস্য অবতরন কেন্দ্র ছুটে গিয়েছেন পটুয়াখালী-০৪ আসেনর সাংসদ মহিব্বুর রহমান ।

রোববার (২১ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে দলীয়
নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আলীপুর ঘাটসহ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিখোঁজ জেলেদের অপেক্ষায় থাকা স্বজনদের কাছে ছুটে যান তিনি। সাংসদের উপস্থিতিতে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন নিখোঁজ জেলেদের স্বজনেরা। এসময় মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল বারেক মোল্লা ও কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনের সময় পটুয়াখালী-০৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান জানান, জেলে ভাইয়েরা জীবন বাজি রেখে সমুদ্রে মৎস্য আহরণ করে। এছাড়া মৎস্য শিকারের মাধ্যমে আমিষের ঘাটতি মিটিয়ে দেশে প্রচুর পরিমানে রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। বর্তমানে নিখোঁজ থাকা জেলে পরিবারে আহাজারি চলছে। আমি মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরন কেন্দ্র এলাকা পরিদর্শন করেছি। এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়া জেলেদের খোঁজ খবর নিয়েছি। নৌ-বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। যাতে উদ্ধার কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়।

এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যেসকল জেলে ভাইয়েরা উদ্ধার হয়েছে তাদের অক্ষতাবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনতে আমি সব রকম চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এছাড়ও তিনি বলেন, দেশের বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেলে ভাইদের জন্য যাতে
দূর্যোগ সহনশীল উদ্ধারকারী নৌ-যানের ব্যবস্থা করা হয় সে ব্যাপারে মানবতার ফেরিওয়ালা জেলেবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি আবেদন করবো। এমনকি জাতীয় সংসদেও বিষয়টি উপস্থাপন করবো। উল্লেখ্য, কুয়াকাটা সংলগ্ন
বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ২৭ টি ট্রলারের এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯ জেলে।

এছাড়া হদিস মেলেনি ৭ টি ট্রলার সহ অন্তত ১শ‘২৪ জেলের। নিখোঁজ এসব জেলে পরিবারে চলছে স্বজনদের ফিরে পাবার আহাজারী। তবে গত দুই দিনে উদ্ধার করা হয়েছে ঝড়ে বিপদগ্রস্থ ৩ শতাধিক জেলেকে। মৎস্য মালিক সমিতির উদ্ধারকারী ট্রলার ও কোষ্টগার্ড সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় এসব জেলেদের উদ্ধারকরে। বিষয়টি সোমবার সকালে নিশ্চিত করেছেন আলীপুর-কুয়াকাটা ও মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতি।