পদত্যাগ না করেই বগুড়ার ৫ জনপ্রতিনিধির মনোনয়নপত্র জমা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ায় পাঁচটি আসনে ছয় জনপ্রতিনিধি অংশগ্রহণ করলেও তাদের মধ্যে পাঁচজনই পদত্যাগ করেননি। এদের মধ্যে বিএনপির তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান ও একজন মেয়র এবং জামায়াতের দুইজন উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন। শুধুমাত্র বিএনপির গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোর্শেদ মিল্টন পদত্যাগ করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন এর আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, লাভজনক পদে থেকে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। যদি কেউ প্রার্থী হন, তাহলে আরপিও অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পদকে লাভজনক ধরা হয়। তাই সংসদ নির্বাচনে তারা (জনপ্রতিনিধি) প্রার্থী হতে গেলে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করে তারপর মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু বগুড়ার এসব জনপ্রতিনিধি পদত্যাগ না করেই বুধবার উৎসবমুখর পরিবেশে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তারা হলেন- বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে আদমদীঘি উপজেলা চেযারম্যান আব্দুল মুহিত তালুকদার (বিএনপি), বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে কাহালু উপজেলা চেযারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা অধ্যক্ষ তায়েব আলী, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা দবিবুর রহমান (স্বতন্ত্র), বগুড়া-৬ (সদর) আসনে মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবুর রহমান (বিএনপি), বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার বাদল (বিএনপি)।

এদের মধ্যে শুধুমাত্র গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন পদত্যাগ করে বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিকল্প হিসেবে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন, আরপিওতে বলা আছে, লাভজনক পদে থেকে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। তারপরও যদি কেউ বিধি লঙ্ঘন করে প্রার্থী হন, তবে যাচাই-বাছাইকালে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা দবিবুর রহমান জানান, তিনি পদত্যাগ করেননি। তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

বগুড়ার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সুফিয়া নাজিম বলেন, বুধবার পর্যন্ত তিনি শুধুমাত্র গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টনের পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছেন। আর কারও পদত্যাগপত্র পাননি।