পাবনার রূপপুর প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন ১৯ অক্টোবর

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের মূল যন্ত্র রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (পারমাণবিক চুল্লি) স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন আগামী ১৯শে অক্টোবর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রিয়্যাক্টর চুল্লি স্থাপন উদ্বোধন করবেন।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে মনিটরিং কমিটির দুই দফা সভা শেষে প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর গণমাধ্যমকে চুল্লি স্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার পরমাণু শক্তি সংস্থা রসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ।

প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে প্রথম ইউনিটের ৭৫ ভাগ ভৌত-অবকাঠামো কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ। তিনি জানান, আগামী ১৯ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের রিয়্যাক্টর স্থাপনের শুভ উদ্বোধনের জন্য সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। দেশের ইতিহাসে এই প্রকল্প একটি মাইলফলক।

গ্রীণসিটি আবাসিকের ‘আরএনপিপি’ ভবনের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসীসহ রূপপুর প্রকল্প ও প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ইউনিটের রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্র স্থাপন উদ্বোধন করেছিলেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা আণবিক শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের সহযোগিতায় চুক্তি অনুযায়ী থার্ড প্লাস জেনারেশনের ১২০০ + ১,২০০ ইউনিটের মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ইউনিট ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যেও রূপপুর প্রকল্পের কাজ একদিনের জন্য থেমে থাকেনি। প্রতিদিন তিন শিফটে দেশী-বিদেশী প্রায় ২৫-২৬ হাজার মানুষ এই প্রকল্পে দিনরাত কাজ করেছন।