পায়ুপথে ৬টি স্বর্ণের ডিম!

পায়ুপথে কনডমে ঢুকিয়ে ৬টি স্বর্ণের ডিম নিয়ে দুবাই থেকে আসছিলেন চোরাকারবারিরা। স্বর্ণগুলো গোপন করে নিয়ে এলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ধরা পড়তে হলে বিমানবন্দর কাস্টমসের কাছে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সন্দেহজনকভাবে তাদের আটকের পর দুজনকে বাথরুমে নিয়ে তাদের পায়ুপথ থেকে ডিমগুলো জব্দ করা হয়।

কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী কমিশনার সাজেদুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুবাই থেকে আসা বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে চার স্বর্ণ চোকারবারিকে আটকের পর দুজনের কাছ ৬টি স্বর্ণের ডিম জব্দ করা হয়। যেগুলোর ভেতরে লিকুইড জাতীয় স্বর্ণ রয়েছে। আমরা সেগুলো উদ্ধার করে আমাদের হেফাজতে নিয়ে আসি।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই হতে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে প্রায় ৩৪.৩৫১ কেজি ওজনের স্বর্ণের চালান উদ্ধার করা হয়। এসব স্বর্ণের বাজারমূল্য আনুমানিক ৩৪ কোটি টাকা।

সকাল ৯টায় দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে বিশাল এই স্বর্ণের চালান আটক করে বিমানবন্দর কাস্টমস ও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।

বিমানবন্দরে দায়িত্বরত গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটে ২৪০ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে দুবাই থেকে আসা বিজি-২৪৮ ফ্লাইট। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানটিতে অভিযান চালায় বিমানবন্দর কাস্টমস ও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই। অভিযানকালে যাত্রীর সিটের নিচ থেকে ১০ ইঞ্চি মাপের বড় স্কেল আদলের ৪টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। একেকটা স্কেলের ওজন আড়াই কেজির ওপরে। এ ছাড়া বাকি স্বর্ণ বিমানের ভেতরে ও ওয়াশরুমে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। যেগুলোর মধ্যে ২৮০টি বার ও ৬টি ছিল বল আদলের।

এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চারজনকে আটক করেছে বিমানবন্দর কাস্টমস। এদের মধ্যে দুজন দুবাই থেকে সিলেট হয়ে ঢাকার যাত্রী ও দুজন সিলেটের।

আটকরা হলেন, মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার পশ্চিম বড়ধামাই নোয়াবাজার এলাকার মঈন উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ন’ভাগ কামালবাজার এলাকার ইরন মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ সানু মিয়া, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার চানপুর গ্রামের মনোহর মিয়ার ছেলে মিসফা মিয়া ও একই উপজেলার সিকন্দরপুর এলাকার মো. আসকর মিয়ার ছেলে মো. আখতারুজ্জামান।

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী কমিশনার সাজেদুল করিম। এ ছাড়া উদ্ধারকৃত স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।