প্রতিমন্ত্রী মুরাদের পদত্যাগে ফেসবুকজুড়ে তারকাদের উল্লাস

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশনায় আজ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে, প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ করায় আনন্দের জোয়ারে ভাসছে নেটদুনিয়া। অনেকের দাবি, এমন প্রতিমন্ত্রী দেশের জন্য ক্ষতিকর!

চিত্রনায়ক ওমর সানী লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। ইমনের ফোনটাকে ধন্যবাদ, ইমনকে নয়। আর মাহি ওই মুহূর্তে কি-বা করার থাকে, কি-বা বলার থাকে বলুন, আল্লাহ ছাড় দেন ছেড়ে দেন না। আমি একজন শিল্পী।

চিত্রনায়িকা নিপুণ লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার্স’খ্যাত আবু হেনা রনি লিখেছেন, ‘তোমাদের শুধু ত্যাগ করার মুরাদ আছে, শাস্তি দেওয়ার মুরাদ নাই।’

সিডি চয়েসের কর্ণধার জহিরুল ইসলাম সোহেল লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে স্যালুট জানাই। আগামীকাল পদত্যাগ করছেন আমাদের তথ্যপ্রতিমন্ত্রী।’

সংগীতশিল্পী প্রীতম আহমেদ লিখেছেন, ‘জাইমা রহমানকে নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য অত্যন্ত কু-রুচি পরিচয় দিয়েছিল। সরকারের উচিত ছিলো শুধু রাজনৈতিক শিষ্টাচার নয়, একজন নারীর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশের জন্য তক্ষণই তার মুখ বন্ধ করে দেয়া। যদি তাই হতো; তাহলে আজ একজন অভিনেত্রীকে জোর করে হোটেলে ডাকতে সাহস পেত না।

মন্ত্রিত্বের একটা সৌন্দর্য ও সম্মান থাকে। সেটা রক্ষা করা সকল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। ক্ষমতা মানুষকে অনেক ভালো ও খারাপ কাজ করার সুযোগ করে দেয়। মানুষ তার রুচি অনুযায়ী সেটার প্রয়োগ করেন। রুচিহীন মানুষের হাতে ক্ষমতা অত্যন্ত ভয়ংকর।’

অন্য একটি পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।’

অভিনেতা ও নির্মাতা মাসুদ আকন্দ লিখেছেন, ‘মন্ত্রিত্ব গেছে ভালো হইছে। একটা ছোট প্রশ্ন, দুই বছর অডিও ক্লিপটি কার কাছে ছিল? আর কোন যাদুবলে মোক্ষম সময়ে তা প্রকাশ পেলো?’

উল্লেখ্য, রোববার রাতে ফেসবুকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি একটি কথোপকথন ফাঁস হয়। যেখানে তিনি অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে কথা বলেন এবং তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বলেন। নায়িকা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেন প্রতিমন্ত্রী। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ডা. মুরাদের শাস্তির দাবি ওঠে।