ফাঁকা রাজপথে যুবলীগ-ছাত্রলীগের মোটর শোভাযাত্রা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সকাল থেকে রাজপথে ফাঁকা। কড়া নিরাপত্তার আয়োজনের মধ্যে রাজধানীতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অনুপস্থিত। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের উপস্থিতি দেখা গেছে।

সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর কদম ফোয়ারা এলাকায় যুবলীগ নেতা-কর্মীদের দেড় থেকে দুইশ মোটর সাইকেলের একটি শোভাযাত্রা মৎস্য ভবন থেকে গুলিস্তানের দিকে যেতে দেখা যায়। পরে তারা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নেয়।

কিছুক্ষণ পর গুলিস্তান থেকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের একটি মোটর সাইকেলের শোভাযাত্রা যেতে দেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ছাত্রলীগে নেতা-কর্মীদের একটি বড় মিছিল আসে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে।

রাজধানীর মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ফুটপাতেও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীরা চেয়ার নিয়ে বসেছিলেন।

গাজীপুরের টঙ্গীতেও সড়কের ধারে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীদের বসে থাকতে দেখা গেছে চেয়ার পেতে।

গত ২৫ জানুয়ারি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই উত্তেজনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা রায় না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুমকির পর পাল্টা প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি দেয়। সেই সঙ্গে নেতা-কর্মীদেরকে জমায়েত রেখে খালেদা জিয়া আদালতে যাবেন বলে পরিকল্পনা হয়।

তবে মামলার দুই দিন আগে ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া আজ থেকে ঢাকায় কোনো ধরনের মিছিল সমাবেশ বা শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেন।

রায়ের দিন সকালে রাজধানীতে যান চলাচল বা মানুষের চলাচল-দুটোই সীমিত। মোড়ে মোড়ে চলছে পুলিশের কড়া পাহারা, তল্লাশি। নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় ঘিরেও আছে নিরাপত্তা। এর মধ্যে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কোথাও জড়ো হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে না।

রায়ের দিন আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি রাখেনি। তবে নাশকতার আশঙ্কায় সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সকাল ১০টার দিকে মৎস্য ভবন থেকে গুলিস্তানের দিকে যাচ্ছিল দেড়শ থেকে দুইশ মোটর সাইকেল। এ সময় তারা যুবলীগের নামে স্লোগান দেয়। কিছুক্ষণ পর গুলিস্তান থেকে ছাত্রলীগের একটি মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা হাইকোর্ট এলাকা হয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যেতে দেখা যায়।

গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা গেছে।

সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট। তিনি বলেন, ‘আমাদের আজ কোনো কর্মসূচি নেই। তবে আমরা সতর্ক আছি। এখানে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার কোনো অপচেষ্টা মেনে নেয়া হবে না।