ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড

‘ক্রিকেটের মক্কা’ বলে খ্যাত লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এই লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ২৩ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো নতুন কোনো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব।

সাতাশ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। আর টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৫ বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছিল দলটি। কিন্তু সেবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।

গেল বিশ্বকাপের কয়েকমাস পর নিউজিল্যান্ডকেই ৩-২ হারিয়ে জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডের। সেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই তাদের ফাইনাল। তাতে জিতলে ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২ বিশ্বকাপের ফাইনালের হার ভুলে নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হবে ইংল্যান্ডের ইতিহাসে।

শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে আত্মবিশ্বাসে খানিকটা চিড় ধরেছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু চোট সারিয়ে জেসন রয় ফেরার পর থেকে দলের চেহারাই বদলে গেছে। তাদের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান মিলে এই টুর্নামেন্টে তুলেছেন ১,৪৭১ রান। বিধ্বংসী জোফরা আর্চার আর নিয়ন্ত্রিত ক্রিস ওকসের নেতৃত্বে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে গেছেন বোলাররাও।

এদিকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা ভারতকে সেমি-ফাইনালে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড প্রমাণ করেছে যে ক্রিকেটে আগে থেকে কিছু বলা যায় না। ওপেনারদের ব্যর্থতা বারবার ঢেকে দিয়েছেন অভিজ্ঞ কেন উইলিয়মাসন আর রস টেলর। বল হাতে একদিক সামলে গেছেন ট্রেন্ট বোল্ট, যার ফলে অন্যপ্রান্তে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন লকি ফার্গুসন আর ম্যাট হেনরি। বোলারদের হাত ধরে ম্যাচের পর ম্যাচ জিতেছে নিউজিল্যান্ড।

এই নিয়ে পরপর দুইবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছে নিউজিল্যান্ড। শুরুটা ভাল হওয়া খুব দরকার, তাই বাড়তি দায়িত্ব নিতেই হবে ওপেনারদের। ফর্ম, লীগের ফলাফল, চেনা পরিবেশ – সব মিলিয়ে হাওয়া ইংল্যান্ডের দিকেই। পাশাপাশি আবার বড় ম্যাচে ভাল খেলার জন্য নিউজিল্যান্ড বিখ্যাত। সব মিলিয়ে কে জিতবে বলা কঠিন।

এদিকে, ফাইনালের আগে আবহাওয়ার অধিদপ্তর দিয়েছে স্বস্তির খবর। দিনের শুরুতে আকাশ মেঘলা থাকলেও দুপুরের পর থেকে রোদ উঠবে। বাতাসে আর্দ্রতা থাকবে কম। ফাইনালের চাপ, তার ওপর লর্ডসে সাম্প্রতিক ম্যাচের ফলাফল – সব মিলিয়ে দুই অধিনায়কই চাইবেন ব্যাটিং নিতে।