বগুড়ার শিবগঞ্জে অনাবৃষ্টিতে আমন চাষে অনিশ্চয়তা

শষ্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা। ১২ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে এ উপজেলা গঠিত। এ উপজেলার মানুষ কৃষি নির্ভর। উপজেলার উৎপাদিত কৃষি পণ্য- ধান, কলা, শাক সব্জি সহ নানা ফসল এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশে ও বিদেশে সরবরাহ হয়।

আষাঢ়-শ্রাবণ বাংলাদেশের বর্ষা কাল এসময় পর্যাপ্ত পরিমান বৃষ্টিপাত হলেও এবছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ও প্রচন্ড তাপদাহের কারণে জনজীবন বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে এ উপজেলার কৃষি জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। বিকল্প হিসেবে স্থানীয় কৃষকরা গভীর নলকূপের পানি দিয়ে জমি সেচ দিয়ে আমন চাষ করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন কৃষকরা।

চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ১ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক মাস যাবৎ বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ও প্রচন্ড তাপদাহের কারণে মাঠের জমি শুকিয়ে গেছে। এ কারণে এ উপজেলার কৃষকরা সময় মতো আমন ধানের চারা রোপন করতে পারছে না। ফলে শ্যালো মেশিন ও গভীর নলকূপ দিয়ে পানি সেচ দিয়ে অনেক কৃষক ধানের চারা রোপন করলেও এবছর প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পানির অভাবে আমন ধানের চারা রোপন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সরেজমিনে পৌর এলাকার মীরের চক গ্রামে গেলে কৃষক শাহিন, মিঠু মিয়া, বাবু মিয়া, মিজানুর রহমান, পান্না মিয়া, আইয়ূব আলী, দুদু মিয়া, আককাছ আলী বলেন এবছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কারণে ও প্রচন্ড তাপদাহে আমাদের জমি শুকিয়ে গেছে। আমরা জমিতে হালচাষ করতে পারছি না। এছাড়াও বীজ তলার ধানের চারা পুরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার তেঘরী মীরের চক, রায়নগর গ্রামের কৃষক আনিছার রহমান, রুহুল আমিন, সোহেল রানা, শাহিন মিয়া, জিন্না মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, মজিদ মিয়া, শাহিনুর মাষ্টার, নয়ন মন্ডল, বিহার ইউনিয়নের আবুল খায়ের বলেন, আমরা খুব চিন্তিত বর্ষা কালে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হলেও এ বছর শ্রাবন মাসের প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে এখনো বৃষ্টিপাত হচ্ছে না, এ কারণে আমাদের জমিগুলো শুকনো অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টি না হলে আমাদের জমিগুলোতে আমন ধানের চারা রোপন করতে না পারলে পতিত পরে থাকবে।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, এই উপজেলায় ২০ হাজার ১ শত ৫০ হাজার হেক্টোর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সময় মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং আব্হাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে প্রায় ১০ হাজার হেক্টোর জমিতে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপন করতে পারছে না। তবে ধানের চারার বয়স বেশ হলে ফলন কম হওয়ার আশংকা রয়েছে।