বগুড়ায় গ্রাহকদের দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানবন্ধন

বগুড়া সদর উপজেলায় বাঘোপাড়া নবনুর সমিতি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (সঞ্চয়ী সমিতি) বিরুদ্ধে গ্রাহকদের দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সঞ্চয় রাখা টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে মানবন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সদরের বাঘোপাড়ায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে দুই শতাধিক ভুক্তভোগী অংশ নেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তারা গরীব ও অসহায় পরিবারের সদস্য। ভুক্তভোগী সবাই নিম্ন আয়ের মানুষ। তারা নবনুর সঞ্চয়ী সমিতিতে মাসে ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা করে ১০ বছর মেয়াদী বা ১ বছর মেয়াদী মাসিক সঞ্চয় করেন। অনেকে গরু-ছাগল বিক্রি করে এফডিয়ার (ফিক্সড ডিপোজিট রেট বা স্থায়ী আমানতে সুদের হার) করেছে, তারা সকলে মিলে প্রায় দুই কোটি জমা করেছে ওই সমিতিতে। কয়েক দফায় টাকা ফেরত দিতে চেয়েও তাদের টাকা ফেরত দেয়নি এই সমিতি। গ্রাম্য সালিশে টাকা ফেরত দিতে চেয়েছিল ওই সমিতি লোকজন। কিন্তু ওই সালিশের এক বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে না। অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছেন।

ভুক্তভোগী এক সদস্য বিধবা সোনাভান। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি অন্যর বাড়িতে কাজ করে যে টাকা পাই, তা থেকে কিছু টাকা নবনুর সমিতে সঞ্চয় করতাম। সমিতিতে আমার মোট ৬২ হাজার টাকা জমা আছে। আমার কাছে জমাদানের বইও আছে।

তিনি বলেন, টাকা ফেরত না পেলে আমার অনেক সমস্যা হবে। কাছে টাকা-পয়সা নেই। মেয়েদের বিয়ে এখন কেমনে দিব, আমার আর কিছুই করার নেই।’

এই সমিতিতে এফডিআর করা এক সদস্য আনিছার। তিনি বলেন, ‘আমার ৯ লাখ এফডিয়ার করা রয়েছে। টাকা ফেরত দিতে তালবাহানা করছে সমিতির কতৃপক্ষ। সবমিলে নবনুর সমিতি গ্রাহকদের প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাত করেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমিতির নির্বাহী পরিচালক আলমগীর হোসেন চঞ্চল বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত সমিতির কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। অচিরেই কার্যক্রম শুরু করা হবে। ধীরে ধীরে সমিতির সকল সদস্যদের আমানত ফেরত দেয়া হবে।’

জানতে চাইলে একই কথা বলেছেন সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।