বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার ২৬ বছর পর স্বামীসহ তিনজনের যাবজ্জীবন

বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার প্রায় ২৬ বছর পর স্বামীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামিরা হলেন- স্বামী গোলাপ হোসেন, মো. জিল্লুর হোসেন ও ফরহাদ মণ্ডল। তারা সবাই বগুড়ার শেরপুরের বাসিন্দা। নিহত নারী শেরপুরের বিশালপুর ইউনিয়নের চায়না খাতুন। তিনি গোলাপের স্ত্রী ছিলেন। এ হত্যা মামলার বাদী চায়নার ভাই হাফিজার রহমান।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে বাবার অমতে চায়নাকে বিয়ে করে গোলাপ। বিয়ের পর থেকে শেরপুরের মির্জাপুরে বাস করছিলেন তারা। সম্পর্কের বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের এক বছর পর বিচ্ছেদও হয়। কিন্তু বিচ্ছেদ হলেও চায়না ও গোলাপের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। বিষয়টি গোলাপের পরিবার মেনে নেয়নি। তারা গোলাপকে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছিলো। এসব কারণে গোলাপ সম্পর্ক একেবারে বিচ্ছিন্ন করতে চায়নাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ রাতে উপজেলার পালশান গ্রামে চায়নাকে ডেকে নিয়ে আসে গোলাপ। এ সময় গোলাপকে সহযোগিতা করার জন্য জিল্লুর ও ফরহাদ উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে গল্প করার সুযোগে চায়নার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন তারা।

এরপর আসামীরা চায়নার মরদেহ ওই গ্রামের এক বাড়ির সেফটি ট্যাংকির ভিতরে লুকিয়ে রাখে। ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পর মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসী।

খবর পেয়ে চায়নার পরিবার এসে জামা-কাপড় দেখে মরদেহ শনাক্ত করে। পরে সেদিনই তার ভাই হাফিজার রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।

ওই মামলা আজ বুধবার তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।