বন্যায় কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলসহ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত! পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি। এতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে চরা লসহ নিন্মাঞ্চলগুলো। পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে নদ-নদী অববাহিকার নিচু চরা লের ঘর-বাড়িতে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার পট, ঝিঙ্গা, ঢেড়সসহ বিভিন্ন সবজি ও পাট, কাউন, চেনাসহ বিভিন্ন ফসল। ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্যা শঙ্কায় দিন পার করছে চরাঞ্চলের মানুষেরা। ইতোমধ্যে অনেকের ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশংকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে চরা লসহ নিন্মাঞ্চলের মানুষজন। নিন্মাঞ্চলের সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দু:চিন্তায় পড়েছেন তারা।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার কৃষক আহমেদ আলী জানান, কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাতের ফলে খাল বিল সব ভরে গেছে। এদিকে ধরলার পানিও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ির পাশে অবস্থান করছে। যেকোন সময় পানি বাড়িতে উঠতে পারে। পটল ক্ষেত, ঢেড়স ক্ষেত, পাট ক্ষেতসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগন্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকার মতিয়ার রহমান জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি খুবই দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন চরগুলোতে পানি প্রবেশ করছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চরা লের ঘর-বাড়ি নিমজ্জিত হয়ে পড়বে। আমরা খুব দু:চিন্তায় রয়েছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনও বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২২ ও ২৩ জুন এসব নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়ার পুর্বাভাস অনুযায়ী জানতে পেরেছে। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বড় কোন বন্যার সম্ভাবনা না থাকার কথাও জানান তিনি।