বন বিভাগের গাড়িতেই কাঠ পাচার!

দিনাজপুরে রামসাগর জাতীয় উদ্যান থেকে পাচারের সময় বন বিভাগের কাঠসহ গাড়ি আটক করে পুলিশের জিম্মায় দিয়েছে এলাকাবাসী। গত শনিবার রাতে চালকসহ গাড়িটি আটক করা হয়।

আটক গাড়িচালক মো. কোরবান আলী জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় তিনি পিকআপে করে ঘাস নিয়ে রামসাগরে গিয়েছিলেন। ফিরে আসার সময় রামসাগরের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস সালাম তুহিনের কথায় তিনি কাঠগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। কোরবান আলীর দাবি, তাঁকে চাকরির ভয় দেখিয়ে এসব গাছ পাচারে বাধ্য করা হয়। আগেও তাঁকে দিয়ে এ কাজ করানো হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় মনা মিয়া ও ফয়সাল হোসেন জানান, এই পাচারের সঙ্গে রামসাগরের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস সালাম তুহিন জড়িত। অনেক দিন ধরেই তিনি এ কাজ করছেন।

রাতেই দিনাজপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান গিয়ে আটক কাঠ, গাড়িসহ চালককে পুলিশে দেন। তিনি বলেন, রামসাগরের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস সালাম তুহিনের কাজ সরকারি সম্পদ গাছ রক্ষা করা, উল্টো তিনি কাঠ পাচার করে স মিলে পাঠাচ্ছিলেন। এর বিচার হতেই হবে। তদন্ত করে আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে গতকাল সহকারী বন সংরক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামসাগরের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস সালাম তুহিন বলেন, ‘অন্যায় সুবিধা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমি ডিএফও স্যারের নির্দেশে ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছগুলো ডিএফও অফিসে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছি মাত্র।’

এ বিষয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. রেদওয়ানুর রহিম জানান, এ ঘটনায় থানায় এখনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।