বলের আকারের মাকড়সা, হতভম্ব বিজ্ঞানীরা!

মাকড়সা একটি অমেরুদন্ডী শিকারী কীট বিশেষ। দেখতেও অদ্ভূত, আর সেটা যদি হয় একটা বলের সাইজের তাহলে তো রীতিমতো ভয়ঙ্কর অবস্থা।

সম্প্রতি সান দিয়াগো ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের একদল গবেষক এমন এক মাকড়সা খুঁজে পেয়েছে যা দেখামাত্র চমকে যাবেন আপনি। চার জোড়া পায়ের প্রাণীটি এমনিতেই ভয়ংকর। নিরীহগুলোকেও দেখলে ভয় লাগে। নতুন খুঁজে পাওয়া মাকড়সাটি সত্যিকার অর্থেই দুঃস্বপ্নের মতো দেখতে। গোটা একটা সফট বলের সমান আকার এর!

শুধু আকারে বলের সমান নয়, এটা অদ্ভুত রকমের লোমশ। ট্যারানটুলাও যেন কিছু নয়। মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়া নামের এক গুহার মধ্যে এটা খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। তারা সিয়েরা কাকাচিলাস পর্বতের প্রাণীজগত পর্যবেক্ষণ করছিলেন।

বহু বিশ্লেষণের পর তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে, এই মাকড়সাটি নতুন প্রজাতির। তারা এর নাম রেখেছেন ‘ক্যালিফোর্কটেনাস কাকাচিলেনসিস’।

ওই জাদুঘরের ফিল্ড এন্টোমটোলজিস্ট জিম বেরিয়ান জানান, একটা পাথরের ফাটলে এটা বসেছিল। এর আকার আমাদের চমকে দেয়। ভীতিকর তো বটেই। এর বহিঃকঙ্কাল অস্বাভাবিকভাবে বড় আকারের। আটটা চোখের ধরন বেশ কয়েক প্রজাতির মাকড়সার সঙ্গে মেলে। এটি সিটেনিডা পরিবারের এক বিস্ময়কর সদস্য। বাজা ক্যালিফোর্নিয়ার বিরল প্রাণীগুলোর মধ্যে একটি তো বটেই। এর মাথা আর পাগুলো গভীর বাদামী রংয়ের। কিন্তু পেট হলুদ। ৪ ইঞ্চি উঁচু হবে এটি। এর বিষদাঁতগুলো একেবারে স্পষ্ট দেখা যায়।

জাদুঘরের ওয়েবসাইটে বলা হয়, এ গ্রহে ১১ লাখ কীট-পতঙ্গের প্রজাতি এবং মাকড়সা খুঁজে পাওয়া গেছে যাদের নাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ বিজ্ঞানির মতে, ২০-৫০ লাখ প্রজাতি রয়েছে যাদের এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এক ম্যাক্সিকান বিশেষজ্ঞ ড. মারিযা লুইজা জিমেনেজ বলেন, যখন এটাকে প্রথমবারের মতো দেখেছি, এর আকার দেখে আমি অবাক! বেশ কয়েক বছর ধরে আমি এ অঞ্চলের মাকড়সা খুঁজে বের করে যাচ্ছি। কিন্তু এটার মতো চেহারা খুঁজে পাইনি। ভাবতেও পারিনি মাকড়সা এমন হতে পারে।