বাঁশের সাঁকোয় ‘জীবন পার’

নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর-চাপড়া সরমজানী ও চড়াইখোলা ইউনিয়নে যমুনেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ১৪টি গ্রামের মানুষ চলাচল করছে। ছয় যুগেরও বেশি সময় ধরে স্থানীয় ব্যক্তিরা এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর কাচারীপাড়া হয়ে বাঁশের সাঁকো অতিক্রম করে যেতে হয় কারবালার ময়দান। সেখানে নামাজ আদায় করেন ১৪টি গ্রামের মানুষ।

এছাড়া বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে বাইসাইকেল, অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেল যাতায়াত করছে। এই সাঁকোই একমাত্র চলাচলের ভরসা। বর্ষা মৌসুম আসলে প্রতিদিনই ঘটে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা।

এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম (৫৫) অভিযোগ করেন, বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে নদী অতিক্রম করে আসছি। বর্ষা মৌসুমে যেন কষ্টের শেষ থাকে না। অনেকে নদীতে পড়ে যায় চলাচল করতে গিয়ে। অনেকে আশ্বাস দিয়েছেন। ইঞ্জিনিয়ার এসে মাপজোক করে নিয়ে গেছে কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

আরেক পথচারী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বর্ষার আগে যাতায়াত সুবিধার জন্য স্থানীয়রা উদ্যোগী হয়ে নগদ টাকা, বাঁশ সংগ্রহ করে থাকেন। পরে সবাই মিলে সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়।

গৃহবধূ তানজিনা বেগম বলেন, এখানে ব্রিজ হলে যাতায়াতের অনেক সুবিধা হয়। কোথাও যেতে হলে সহজে যানবাহন পাওয়া যায় না। সহজে কেউ আসতে চায় না। এলাকাটিও পিছিয়ে রয়েছে।

জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নীলফামারীর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, ওই এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অফিসিয়ালি যা যা করার দরকার আমরা করেছি এবং একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। পাস হয়ে আসলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।