বাংলাদেশের হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে ভারত

বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে বিভিন্নস্থানে বসতি গড়া হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে দেশটির সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশি হিন্দুদের মধ্যে ৩ তফশিলী জাতিকে কর্ণাটকে অভিভাসন দেয়ার বিষয়টি সুপারিশও করেছে।

গত চার দশকের মধ্যে এই প্রথমবারের মত ভারত এ বিষয়টির দিকে নজর দিচ্ছে। ১৯৭১ সালে এ ৩টি তফশিলী জাতির লোকজন ভারতে যায়। নমশূদ্ররা চণ্ডাল নামেও পরিচিত এবং হিন্দুদের উচ্চ বর্ণের লোকজন তাদের অস্পৃশ্য বা অচ্ছুৎ বলে মনে করে।

গত বুধবার ভারতের মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের দেশটির আইনমন্ত্রী টি বি জয়চন্দ্র বলেন, ৮ হাজার ২৪ জন নমশূদ্র, ১১৮ পুন্ড্র ও ১০৭ রাজবংশী সদস্যকে কর্নাটকে অভিভাসন করার প্রক্রিয়া চলছে। এরা এক সময়ে বাংলাদেশে ছিল, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার পর তারা কর্নাটকের সিন্ধানুর অঞ্চলের রাইচুর জেলায় বসতি গড়ে। এখন তারা ভারতের নাগরিক ও ভোটার।

সিন্ধানুরের এমএলএ বাদারলি হাম্পানা গোওধা বলেন, এই বাংলাদেশি শরণার্থীরা পরিবার পিছু ৫ একর জমি পেয়েছে কৃষি কাজ করার জন্যে। তারা সাধারণ শ্রেণীর মর্যাদা পাচ্ছে এবং অনগ্রসার জাতি হিসেবে বিশেষ সুবিধা পেত।

জয়চন্দ্র বলেন, আমরা তাদেরকে ভারতে অভিভাসন দেয়ার ক্ষেত্রে পুরাতন কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেছি। ভারতের সংবিধান অনুসারে ৩৪১ ধারার (২) বর্ণিত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো বর্ণিত সংশোধনী দেশটির সংসদে সংশোধন করা যাবে। সুপারিশের পর তফশিলী জাতিকে অভিভাসনের প্রস্তাবটি রেজিস্টার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে তাদের সবুজ সংকেত পেলে প্রস্তাবটি ফের ভারতের ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউল কাস্টে পাঠানো হবে। এরপর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্তভাবে নামের তালিকা পাঠাবে সংসদে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।