‘বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে’

বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধন দুই দেশের জনগণের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে উল্লেখ করে এ বন্ধন যেন এগিয়ে নিতে পারেন সেই কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ বন্ধন শুধু রেলের বন্ধন না। আমাদের এ বন্ধন যেন দুই দেশের জনগণের মাঝে বন্ধন সৃষ্টি করে সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেটাই আমাদের কাম্য।

বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতু, তিতাস সেতু ও খুলনা-কলকাতা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি খুব আনন্দিত। সকলের সঙ্গে মিলে আমরা যে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করলাম, তাতে আমাদের দুই দেশের জনগণ লাভবান হবে। দুই দেশের মানুষের দীর্ঘ দিনের একটা স্বপ্ন পূরণ হলো।

তিনি বলেন, কলকাতার চিতপুরে নতুন আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালসহ ঢাকা-কলকাতা এবং খুলনা-কলকাতার মধ্যে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা আরামদায়ক ভ্রমণে সহায়ক হবে। বিশেষ করে যাত্রীরা খুবই সুবিধা পাবে। আমি মৈত্রী এক্সপ্রেস ও অন্যান্য এক্সপ্রেসের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মাঝে অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে, যেটা একান্তভাবে অপরিহার্য। রেলওয়ে খাতে আমাদের দুই দেশের মাঝে চমৎকার সহযোগিতা বিদ্যমান। ২০০৯ সাল থেকে সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাদেশ এবং ভারতের মাঝে ১৯৬৫ সালের পূর্ব পর্যন্ত যে সমস্ত লাইনগুলো চালু ছিল, যা ১৯৬৫ সালের পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেগুলো পুনরায় চালু করা। ইতোমধ্যে বেশ কিছু চালু হয়েছে এবং বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্কটা অত্যন্ত চমৎকার। এই সম্পর্ক শুধু রেল, সড়ক, নদী, আকাশ পথে সংযুক্ত নয়। আমরা ইন্টারনেট ব্রেন্ডউইথ, উপকূলীয় নৌপথ, বিদ্যুৎ গ্রিড ইত্যাদির মাধ্যমেও আজকে আমরা সংযুক্ত। আমাদের সংযুক্ত হওয়ার এসব নতুন নতুন পথ সার্বিকভাবে সংযোগের কাঠামোতে বিচিত্র মাত্রা যোগ করেছে। এখানে আমি আনন্দের সাথে উল্লেখ করতে চাই, সম্প্রতি আমাদের এই যোগাযোগ মহাকাশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়া একটা শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ভারত এবং অন্যান্য নিকট প্রতিবেশির সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই। যেখানে আমরা প্রতিবেশি হিসেবে পাশাপাশি বাস করতে পারি। জনগণের কল্যাণে, যেটা আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা। জনগণের কল্যাণ যেন আমরা করতে পারি। সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নই আমাদের মূল লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দ্বি-পাক্ষিক মাত্রা ছাড়িয়ে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। আমি নিশ্চিত আমাদের দুই দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য আগামীতে এ ধরনের আরও অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপনাদের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ নিয়ে সব সময় অপেক্ষায় থাকব।