বাজেটে ভর্তুকি বাড়ছে পৌনে ৪ হাজার কোটি টাকা

আগামী বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে পৌনে চার হাজার কোটি টাকা। এলএনজি, গৃহনির্মাণ ঋণ, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ও প্রণোদনায় বরাদ্দ থাকছে ৩১ হাজার কোটি টাকা।

যা জিডিপির প্রায় দেড় শতাংশ। প্রকৃত সুবিধাভোগীরা যাতে সুফল পায়, সেজন্য বাজেটে কাঠামোগত সংস্কার করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

কৃষি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, রপ্তানি, খাদ্য সহায়তাসহ বেশ কয়েকটি খাতে ভর্তুকি দিয়ে থাকে সরকার। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ অনেকবার ভর্তুকি উঠিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিলেও সরকার সাড়া দেয়নি।

নতুন বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে চলতি অর্থবছরের চেয়ে কমপক্ষে ৩ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা বেশি ব্যয় গুণতে হবে। ওএমএস কার্যক্রম চালাতে ৪ হাজার কোটি এবং পিডিবিকে ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।

অথচ চলতি অর্থবছর পিডিবিকে ঋণ হিসেবে সহায়তা দিয়েছে সরকার। কৃষিতে ভর্তুকি বাড়িয়ে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা দেয়া হবে। এছাড়া কম দামে এলএনজি সরবরাহের জন্য ভর্তুকি বরাদ্দ থাকছে।

অর্থনীতির অদক্ষতার কারণেই ভর্তুকি দিতে হয় বলে মত বিশ্লেষকদের। এক্ষেত্রে বিদ্যুতের মতো বড় বড় খাতে সিস্টেম লস কমানো গেলে ভর্তুকি নির্ভরতা কমবে বলে মনে করছেন তারা।

বিপিসি লাভজনক হওয়ায় গত দুই অর্থবছর জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দিতে হয়নি। আগামী বাজেটেও এ খাতে বরাদ্দ থাকছে না।