বাজে আচরণ সত্ত্বেও এমেরির চোখে নেইমার স্পেশাল

প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ‘অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ’ করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে নেইমারকে। তবে তার ভাবনার কিছু নেই। পাশে পাচ্ছেন বর্তমান গুরু উনাই এমেরিকে। পিএসজি কোচের দৃষ্টিতে, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড অবশ্যই বিশেষ কিছু।

গত মঙ্গলবার ফরাসি লিগ কাপের সেমিফাইনালের শেষ দিকে রেনের এক খেলোয়াড়কে মারাত্মক ফাউল করায় লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। তবু জয় পেতে সমস্যা হয়নি তাদের। ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালে উঠে দলটি।

তবে ওই ম্যাচে পিএসজির পারফরম্যান্স ছাপিয়ে আলোচনার জোয়ার তুলেছে রেনের খেলোয়াড়দের সঙ্গে নেইমারের ‘বাজে আচরণ’। ব্রাজিল যুবরাজের আচরণ নিয়ে তারা দুবার আপত্তি তুলেছেন।

প্রথমবার পেছন দিয়ে বল থামিয়ে ঘুরে রেনের বেজামার ওপর দিয়ে ফ্লিক করেন নেইমার। এতে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ব্রাজিল তারকাকে জাপ্টে ধরার চেষ্টা করেন এ উইঙ্গার।

দ্বিতীয়বার যোগ করা সময়ের চার মিনিট আগে পড়ে যান রেনের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় থাওহে। তাকে তুলতে হাত বাড়িয়ে দেন নেইমার। পরে থাওহে হাত বাড়ালে সরিয়ে নেন তিনি। এতে বেজায় চটে পিএসজি ফরোয়ার্ডকে ঘিরে ধরেন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা।

নেইমারের প্রথম কাণ্ডে অবশ্য দোষের কিছু দেখছেন না সমালোচকরা। তাদের মতে, এটা এক ধরনের ফুটবলীয় দক্ষতা। যত সমস্যা দ্বিতীয় ঘটনা নিয়ে। কারও কারও মতে, এতে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের অহংকারী মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। যদিও ওই আচরণকে নিছক রসিকতা বলে দাবি করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

আজ লিগ ওয়ানের পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল লিলের মাঠে খেলতে যাবে শীর্ষে থাকা পিএসজি। ম্যাচ পূববর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই উঠে এল নেইমারের ‘বাজে আচরণের’ প্রসঙ্গ।

এমেরি বলেন, ‘নেইমার যখন স্পেনে ছিল, তখন থেকেই তাকে আমি চিনি। সে স্পেশাল। তার খেলা উপভোগ্য।’

তিনি বলেন, ‘সে সত্যিই খুব স্মার্ট। সে জানে কিভাবে দলকে সহায়তা করতে হয়। তার খেলা পিএসজির স্টাইলের সঙ্গে যায়।’