বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে নেয়া পাহাড়ি গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ-ইউপিডিএফ
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমায় কেএনএফ-এর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযানে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাওয়া কয়েকটি গ্রামের পাহাড়িদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)।
ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বৃহস্পতিবার(১৮ই মে ২০২৩) এক বিবৃতিতে অবিলম্বে উক্ত গ্রামবাসীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেছেন, কথিত বিচ্ছিন্নতাবাদী দমনের নামে নিরীহ জনগণের জানমাল ও মানবাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা গ্রহণযোগ্য নয়।
স্থানীয় জনগণের বরাত দিয়ে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ‘গত ১৫ই মে সুংসং পাড়া আর্মি ক্যাম্পের সৈন্যরা পাসিং পাড়া থেকে ১৭জন ও এমটিএস পাড়া থেকে ১৪জন গ্রামবাসীকে এবং তার পরদিন অর্থাৎ ১৬ই মে বাকলাই পাড়া আর্মি ক্যাম্পের সেনারা বাশিরাম পাড়া থেকে ২২জন ত্রিপুরা ও আরও কয়েকটি গ্রাম থেকে ত্রিপুরা ও মারমা গ্রামবাসীকে জোরপূর্বক নিয়ে যায় এবং কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামের একটি সশস্ত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযানে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল উক্ত অভিযানে দুই সেনা সদস্য নিহত ও অপর দুই সেনা অফিসার আহত হওয়ার খবর আইএসপিআর জানালেও অভিযানে যেতে বাধ্য করা গ্রামবাসীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। তবে একটি অসমর্থিত খবরে জানা যায় উক্ত অভিযানে গ্রামবাসীদের মধ্যে জুয়েল ত্রিপুরা নামে একজন নিহত এবং অন্য একজন আহত হয়েছেন।’
অংগ্য মারমা অবিলম্বে জোর করে কেএনএফ-বিরোধী অভিযানে নিয়ে যাওয়া গ্রামাবাসীদেরকে তাদের স্ব-স্ব পরিবারের কাছে নিরাপদে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযানে নিরীহ লোকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন